Spread the love

রাবেয়া জাহান:

একজন নারী জীবনের সবটুকু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এগিয়ে চলতে চায়। বাচঁতে চায় আত্মমর্যাদা আর আত্মনির্ভরশীল হয়ে। কিন্তু নারীদের আত্মনির্ভরশীলতার এই যাত্রাটি খুব সহজ নয়। পথে পথে বাধা।পরিসংখ্যান সাক্ষ্য দিচ্ছে, কিশোরী বা বালিকাদের বিয়ে বন্ধ করা তো যায়ইনি বরং বিভিন্ন সংকটের সময় তা বেড়েছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল তাদের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলছে, বাংলাদেশ এখন বাল্যবিবাহে শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয় বরং গোটা এশিয়ায় সবার ওপরে।

চলুন আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেই নারীদের এই বাধাটি কখন থেকে শুরু হয় আর নারীরা কিভাবে এই বাধা অতিক্রম করে আসছে।

১৮ থেকে ২৫ এর মধ্যে একটা মেয়ের বিয়ের সর্বোত্তম বয়স। আবার অনেক মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের আগেই।  আর এই সময় বিয়ে পড়াশোনা এবং সন্তান লালন পালন সবকিছু একসাথে চালিয়ে নেওয়া অনেকের জন্য ই সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ মেয়েদের ই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়।

আর  যারা পড়াশুনা চালিয়ে যায়, তাদেরকে অনেক বেশি সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়।বিশেষ করে বাচ্চা নিয়ে পড়াশোনা করা মেয়েদের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ।  দীর্ঘ সময়ের জন্য বাচ্চাকে রেখে আসা যায় না। আবার বাচ্চাকে সাথে নিয়ে আসলে অনেকে বিরক্ত বোধ করে আবার বাচ্চা ও যন্ত্রণা করে। এ বিষয়ে অনেক মেয়েরা তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে।

একটা মেয়ে নিজের অস্তিত্বকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই আবদ্ধ রাখতে চায় না। আর তাই সকল প্রতিকূলতা আর বিরুপ মন্তব্যকে উপেক্ষা করে বাচ্চা কাধে নিয়েই তারা  জীবন যুদ্ধে বের হয়।

ক্লাস রুমে পরীক্ষা দিচ্ছে মা আর বাইরে চিৎকার করছে সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তান।  এ সময় মনযোগ বজায় রেখে পরিক্ষা দেওয়া ও মায়ের জন্য এক বিরাট পরিক্ষা।  এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী মায়েরা  সকলের সহযোগিতা এবং ইতিবাচিক মনোভাব প্রত্যাশা করে।

এ ছাড়া অনেক নারীরা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ শুধু নিজের সুপ্ত ইচ্ছেগুলোকে বাচিঁয়ে রাখতেই পড়ছে।

বয়স সংশয় লজ্জা সবকিছুর উর্ধ্বে একজন নারী নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু করতে চায়।

একজন নারী  তার আত্ম  পরিচিতি চায়। বস্তুত, একজন মা তার  স্বকীয়তা আত্মনির্ভরশীলতা এবং সৃজনশীলতা হারিয়ে কখনোই তার সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে  না।  তাই, একটি জাতির উন্নয়নে একজন মায়ের সুশিক্ষিত হওয়া খুবই প্রয়োজন।  আর এই সুশিক্ষিত হওয়ার যাত্রায় পরিবার, সমাজ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ইতিবাচক মনোভাব পোষোন করতে হবে বলে নারীরা মত প্রকাশ করেন।

কমেন্টে আপনার মতামত জানাতেও ভুলবেন।।