ব্রাজিলের তরুণ দলের নতুন তুর্কি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এন্ড্রিককে। ভক্ত-সমর্থকদের অনেকে ১৭ বছর বয়সী এই তারকাকে বলে থাকেন ব্রাজিল ফুটবলের ভবিষ্যৎ। অবশ্য কারণ তো ছিলই। কোপা আমেরিকার আগে ইংল্যান্ড-স্পেনের মতো দলের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি।
তার আগে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসে পায়ের জাদু দেখিয়েছিলেন এন্ড্রিক। যে কারণে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে ডাক পেয়েছেন তিনি। ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটিতে ইতিমধ্যে নাম লেখিয়ে নিয়েছেন এই স্ট্রাইকার
এবারের কোপা আমেরিকাতে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ‘৯’ নম্বর জার্সিও নিজের গায়ে চেপেছেন এন্ড্রিক। কিন্তু কোনো গোল না করেই মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হলো তাকে। কোয়ার্টার ফাইনালে তার পারফরম্যান্সও ছিল একেবারে যাচ্ছেতাই।
উরুগুয়ের নানদেজ লালকার্ড দেখার পর ব্রাজিলের সামনে সুযোগ ছিল আক্রমণের ধার বাড়ানোর। কিন্তু সেটি তারা করতে ব্যর্থ হয় পুরোপুরিভাবে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের অবর্তমানে তার উপরেই ভরসা করেছিল ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়র।
এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের জার্সিতে ১০ ম্যাচ খেলেছেন এন্ড্রিক। তবে আজকের ম্যাচের আগে একবার পুরো সময় খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ভিনি না থাকায় আজ শুরুর একাদশেই তাকে দলে রেখেছিলেন কোচ। তবে কোচের আস্থার প্রতিদান মোটেই দিতে পারেননি এন্ড্রিক।
উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রথমার্ধে মাত্র ৫টি পাস দিতে পেরেছিলেন এন্ড্রিক। এরমধ্যে মাত্র ১টি পাস সতীর্থদের নিশানা খুঁজে পেয়েছিল। পুরো ম্যাচে মাত্র একটি শট তিনি গোলমুখে নিতে পেরেছেন। তাও ৮৩ মিনিটের পর। সেটিও ছিল দুর্বল শট।
সব মিলিয়ে আজ মাত্র ২৪বার বলে স্পর্শ করেছেন এন্ড্রিক। এরমধ্যে মাত্র ৯বার সফল পাস দিতে পেরেছেন সতীর্থদের। ১৫বারই তিনি বল লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। ১৪টি ডুয়েলের মধ্যে মাত্র ৪টিতে তিনি জয়ী হতে পেরেছেন। টাইব্রেকারের সময় ব্রাজিলের হয়ে ৪টি পেনাল্টিতে এন্ড্রিকের অংশগ্রহণ ছিল না।
এমন বাজে পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন এন্ড্রিক। তবু সামনে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে বলেই প্রত্যাশা ব্রাজিল সমর্থকদের। ভক্তরা আশা করছেন, একদিন ঠিকই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে দেশকে ট্রফি এনে দিবেন ভবিষ্যতের এই তারকা।