বৃষ্টি মহান আল্লাহর দান। বৃষ্টিতে সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে প্রকৃতি। নবীজি বৃষ্টির পানি গায়ে লাগাতেন। উম্মতকেও বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন।
অতিবৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ ও জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আর বজ্রপাতে মানুষ মারা যায়। তাই তো নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দুটি থেকে বাঁচার দোয়া শিখিয়েছেন।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতিবৃষ্টি হলে এ দোয়াটি পড়তেনঃ
( اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ) (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা। আল্লাহুম্মা আলাল-আকামি ওয়াযযিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি, ওয়ামানা-বিতিশ শাজার।) (বুখারি: ৯৩৩) ।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্ষণ করুন, আমাদের ওপর নয়। হে আল্লাহ, উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার দোয়া :
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন তখন এ দোয়া পড়তেনঃ
( اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ ) (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা, ওয়া লা তুহলিকনা বিআজা বিকা; ওয়া আফিনা ক্বাবলা জালিকা।) (তিরমিজি ৩৪৫০)
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাকে পরিত্রাণ দিন।
বজ্রপাতের শব্দ শুনলে নবীজি যে দোয়া পড়তেন :
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বজ্রপাতের শব্দ শুনলেই পড়তেনঃ
( سُبْحَانَ الَّذِيْ يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ ) (উচ্চারণ: সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাব্বিহুর রাঅদু বিহামদিহি।)
অর্থ: পবিত্র সত্তা — বজ্রও সন্ত্রস্ত হয়ে যার প্রশংসা করে।