আন্তর্জাতিক: অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি সেনাদের লেলিয়ে দেয়া কুকুরের আক্রমণে এক ফিলিস্তিনি তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া মোহাম্মদ বাহার ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি কোনো রকম কথা বলতে বা নিজের কাজ করতে পারতেন না।
শুক্রবার ১২ জুলাই মধ্য প্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন বলা হয়, গাজা উপত্যকার সুজাইয়াতে এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে।
মোহাম্মদ বাহারের মা নাবিলা আহমেদ মিডল ইস্ট আইকে বলেন, গত ২৭ জুন থেকে সুজাইয়াতে ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক হামলা চালায়। ওই দিন থেকে নিজেদের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন তারা। কিন্তু একদিন তাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় ইসরাইলিরা। এসেই প্রথমে একটি কুকুরকে বাড়ির ভেতরে ছেড়ে দেয়। ওই কুকুরটি মোহাম্মদকে কামড়ে ধরে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে।
মুহাম্মদে ৭১ বছর বয়মি মা আরও বলেন, প্রতিবন্ধী হওয়ার পরও মোহাম্মদকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। এ সময় সেনারা বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে তাকে আলাদা একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় সেই রুম থেকে প্রচণ্ড চিৎকার করছিলেন মোহাম্মদ। চিৎকার শোনা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারেননি তার মা।
দখলদার সেনারা সুজাইয়া থেকে চলে যাওয়ার পর গত বুধবার (১৯ জুলাই) মোহাম্মদের পরিবার দ্রুত তাদের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান বাড়িতে পড়ে আছে মোহাম্মদের গলিত মরদেহ। তার মুখমণ্ডল পোকামাকড়ে খাচ্ছিল।
নাবিলা আহমেদ বলেন, তার চিৎকার এবং কুকুর থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টার যে চিত্র আমি দেখেছি, তা ভুলতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, সে ছিল এক বছর বয়সি শিশুর মতো। আমি তাকে খাইয়ে দিতাম, তার ডায়াপার পরিবর্তন করে দিতাম। তার সঙ্গে তারা কী করেছে এবং কীভাবে তাকে এভাবে মরতে দিয়েছে, আমি ভাবতেও পারি না।