অবরোধ-ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বিক্ষোভে উত্তাল জামালপুর

কোটা সংস্কারের দাবিতে জামালপুরে ট্রেন ও মহাসড়ক অবরোধ করে । করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে শহরের মির্জা আজম চত্বরে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেন। পরে শহরের শেখেরভিটা রেলক্রসিংয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেন ১ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।

পরে সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন এবং মারপিট করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে ভিতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় সাংবাদিক সুমন মাহমুদসহ ৬ জন আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে নেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

আন্দোলনকারীরা কলেজ ক্যাম্পাসে ভাঙচুর এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার সময় শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকের গাড়িসহ বেশ কয়েক গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গেটপাড় এলাকায় গিয়ে শহরের প্রধান সড়ক ও রেলক্রসিংয়ে অবরোধ করেন। এ সময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

এদিকে রেলক্রসিং অবরোধ করে রাখায় কেন্দুয়া কালীবাড়ি এলাকায় জিএম এবং মেলান্দহ স্টেশনে ঢাকাগামী কমিউটার ট্রেন আটকা পড়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। এ নিয়ে শহর জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করে।

এ বিষয়ে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শেখ উজ্জ্বল মাহমুদ বলেন, দুই স্টেশনে দুটি ট্রেন আটকা পড়েছে। শিক্ষার্থীরা সরে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত কবির বলেন, কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও কোনো মামলা মোকদ্দমা হয়নি। এ ঘটনায় কোনো আটক হয়নি।

See also  চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ