সবচেয়ে কম আয়ু যে প্রাণির তার আয়ুষ্কাল মাত্র ৫ মিনিট। খুব বেশি হলে বাঁচতে পারে ২৪ ঘণ্টা। এই প্রাণি জগৎ আসলেই অদ্ভুত ও রহস্যময়। যে রহস্যভেদ করা এখনো মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়নি। যে যাই হোক,মাত্র ৫ মিনিট থেকে বড়জোর ২৪ ঘণ্টা আয়ু নিয়ে জন্মানো এই প্রাণিটি হচ্ছে মেফ্লাই।
গ্রাস স্পঞ্জের মত প্রাণী,যারা ১০ হাজার বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে, সেখানে মেফ্লাইয়ের আয়ু ৫ মিনিট থেকে ২৪ ঘণ্টা। বিজ্ঞানীদের দাবি, সবচেয়ে কম আয়ু মেফ্লাইয়ের। মেফ্লাইয়ের পরেই তালিকায় নাম আসবে গ্যাসট্রোট্রিচের। এটি এক জাতীয় মাইক্রোস্কোপিক সামুদ্রিক প্রাণী যা বাঁচে মাত্র কয়েক দিন।
এরপর-ই নাম আসবে ড্রোন অ্যান্টের। এই পিঁপড়ে বাঁচে মাত্র কয়েক সপ্তাহ। মাছির আয়ু-ও খুব কম। বাঁচে মাত্র ১৫-৩০ দিন। অন্যদিকে দীর্ঘায়ুর প্রাণির নাম জানেন? জেলিফিসকে ‘অমর’ বলা হয়। ব্যাকওয়ার্ড এজিং জেলিফিশ প্রাণিবিদদের কাছে পরিচিত টারিটোপসিস ডোরনি নামে।
গ্রিনল্যান্ড হাঙ্গর প্রায় ২৭২ থেকে ৫১২ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়। পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় ও দীর্ঘজীবী মেরুদণ্ডী প্রাণী। এরা আর্কটিক মহাসাগর ও উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে বাস করে। ধীর বৃদ্ধির হার এবং সম্ভবত মেরামতের বিশেষ জিনের কারণে এদের আয়ু এতো বেশি বলে ধারণা করা হয়।
রকফিশ দীর্ঘজীবী প্রাণিদের মধ্যে অন্যতম। রকফিশ ২০০ বছরেরও বেশি বেঁচে থাকতে পারে। সেবাস্টেস অ্যালেউটিয়ানাস নামের রকফিশ ২০৫ বছর বেঁচে থাকার রেকর্ড গড়েছে। রকফিশের দীর্ঘজীবী হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নন। তবে কিছু সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। এদের বিপাক ক্রিয়া খুব ধীর, ফলে তাদের কোষ ক্ষয়ের হার কম। সমুদ্রের তলদেশে পাথরের মধ্যে লুকিয়ে থাকার স্বভাবের কারণে এদের বলা হয় রকফিশ।
বোহেড তিমি বেলেনিডা তিমি পরিবারের একমাত্র জীবিত প্রতিনিধি। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী বিশালাকার প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। একদল গবেষক বোহেড তিমির জিন বিশ্লেষণ করেছেন দেখেন, এটি ২৬৮ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এই তিমি ৬০ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং ২০০ টন পর্যন্ত ওজনের হতে পারে।