সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশে যখন তীব্র আন্দোলন-বিক্ষোভ চলছে; একই সময়ে কোটা ইস্যুতে বিতর্ক শুরু হয় ভারতেও। বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে বিল পাস করেছিল দেশটির কর্ণাটক রাজ্য সরকার। তবে তীব্র বিতর্কের জেরে অবশেষে বিলটি স্থগিত করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন,
বিলটি পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং আগামী দিনগুলোতে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে সিদ্দারামাইয়া বলেন,
বেসরকারি খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কন্নড়ভাষীদের জন্য কোটা রেখে মন্ত্রিসভায় যে বিলটি অনুমোদিত হয়েছিল, তা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে জানা যায়, কর্ণাটকের নতুন কোটা নীতিতে বেসরকারি সংস্থার গ্রুপ ‘সি’ এবং গ্রুপ ‘ডি’ পদে কন্নড়ভাষীদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অর্থাৎ স্থানীয়দের জন্য ১০০ শতাংশ কোটা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, নতুন বিলে বলা হয়েছে, যেকোনো সংস্থাকে ‘ম্যানেজমেন্ট’ ক্যাটাগরিতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ‘স্থানীয় প্রার্থী’ নিয়োগ করতে হবে। আর ‘নন-ম্যানেজমেন্ট’ ক্যাটাগরিতে ‘স্থানীয় প্রার্থীদের’ জন্য কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোটা থাকবে।
‘কর্ণাটক স্টেট এমপ্লয়মেন্ট অব লোকাল ক্যান্ডিডেটস ইন দ্য ইন্ডাস্ট্রি, ফ্যাক্টরি অর আদার এসটাবলিশমেন্টস বিল’-এ আরও বলা হয়েছিল, বেসরকারি সংস্থায় চাকরি-প্রার্থীকে কমপক্ষে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কন্নড় ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। অন্যথায় তাকে ভাষার পরীক্ষা দিতে হবে।
তবে বিলটি পাস হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা বলেন, বিলটির প্রয়োগ শুরু হলে বেঙ্গালুরুতে প্রতিষ্ঠান চালানোর মতো দক্ষ কর্মী পাওয়া যাবে না।