প্রেমিকের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক বেশ কয়েক বছরের। এমন নয় যে, আপনার বাড়িতে জানে না। কিন্তু বাড়ির অভিভাবকেরা সব জেনেও না জেনে থাকার ভান করেন।
এদিকে আপনি যখন নিজে যেচে প্রেমের কথা বললেন, তখন একেবারে হইহই কাণ্ড! মেয়ে প্রেম করছে একথা যেন এখনো বাবা-মায়েরা ঠিক মেনে নিতে পারেন না। প্রেম আপনাকে একেবারেই পছন্দ করে না প্রেমিকার বাবা। দেখা হলে অপমান করতেও ছাড়েন না।
তাই তাকে দেখলে কথা বলার বদলে উল্টো পথে হাঁটেন আপনি। অনেক বড় ভুল করছেন আপনি। এতে সম্পর্কের তিক্ততা আরও বাড়তে পারে।
এক্ষেত্রে আপনার চেষ্টা করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব তার মনে জায়গা তৈরি করা। এটা কঠিন কোনো কাজ নয়, কাজে লাগাতে পারেন এই কৌশলগুলো।
সময় দিলেই মিটে যাবে সমস্যা
সময় দিলে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। শত প্রচেষ্টার পরও যদি প্রেমিকার বাবা আপনাকে মানতে না চান, তাতে মন খারাপ করে লাভ নেই। কিছুটা সময় অপেক্ষা করুন। তাঁকে তাঁর মতো ছেড়ে দিন। আর আপনারা সমাধানের পথ খুঁজতে থাকুন। নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ তাঁর সামনে তুলে ধরুন। দেখবেন একসময় ঠিকই মেনে নিয়েছে।
অপছন্দের কারণ জানুন
প্রেমিকার বাবা যদি আপনাকে পছন্দ না করে, তবে তার পিছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। বিষয়টা আপনাকে দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। তারপর নিজেকে পছন্দের পাত্রে পরিবর্তন করতে কাজে লেগে পড়ুন। আশা করা যায়, এই কাজটা করলেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যেতে পারে। দেখবেন, প্রেমিকার বাবা আপনাকে এক সময় ঠিকই মেনে নেবেন। তাই ঝটপট কাজে লেগে পড়তে পারেন।
দেখা হলে কথা বলুন: প্রেমিকার বাবার সঙ্গে দেখা হলে, না পালিয়ে কথা বলুন। মনে রাখবেন, যতদিন না ঠিকমতো কথা বলছেন, ততদিন সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন না। তাই সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই প্রেমিকার বাবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। পারলে তার কাছে গিয়ে নিজের বিষয়ে সব খোলসা করুন। যদি তিনি কিছু বলেন, সেটিও মাথায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। দেখবেন এই কাজটি করলে পরবর্তীতে পারিবারিক বন্ধন তৈরি আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
ভালো-মন্দের খবর নিন: মেয়েরা সাধারণত বাবার পছন্দ-অপছন্দের খবর রাখেন। তাই প্রেমিকার থেকে নিয়মিত তাঁর বাবার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে পারে। তাঁর পছন্দ এবং অপছন্দের বিষয়গুলিকে জেনে রাখা খুব জরুরি। প্রয়োজনে ঠিক কাজে দেবে। যেমন ধরুন, এরপর যখনই তাঁর সঙ্গে দেখা হবে, তখন চেষ্টা করুন পছন্দের জিনিসগুলি নিয়ে কথা বলতে। দেখবেন ফল আপনি হাতেনাতে পাবেন।