মালদ্বীপের হাইকোর্টে বাংলাদেশি সেলিমের মৃত্যুদণ্ড বহাল

মালদ্বীপের এক নাগরিককে হত্যার দায়ে প্রবাসী বাংলাদেশি শাহ আলম মিয়া ওরফে সেলিমের (২৯) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য ফৌজদারি আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন দেশটির উচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মালদ্বীপের হাইকোর্ট এ রায়ের সিদ্ধান্ত জানান। এর আগে বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সেলিমের সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জে করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে হাইকোর্ট পুনরায় যুক্তিতর্ক আমলে নিয়ে ফৌজদারি আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর বিকেলে মালদ্বীপের ধানগেঠি আইল্যান্ডে স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহমুদ আবুবকর (৫৭) নিখোঁজ হন। পরে সেখানের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পানির কূপে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

মালদ্বীপ পুলিশের ভাষ্যমতে, ওইদিন রাতের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় একজন ব্যক্তিকে প্রবাসী সেলিম কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে। পরে তার মরদেহ বস্তায় ভরে একটি কূপে ফেলে দেয়। তবে এর আগে কোনো একসময় ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে আবুবকরকে। প্রবাসী সেলিম মিয়া গ্রেফতারের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি টাকার লোভে এই হত্যা করেছেন বলে জানান আদালতকে।

আদালতে মাহমুদ আবুবকরকে নির্মমভাবে হত্যার কথা চার বার স্বীকার করেন শাহ আলম মিয়া। সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফৌজদারি আদালত তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে।

মালদ্বীপের ইতিহাসে কোনো নাগরিককে হত্যার ঘটনায় এটিই প্রথম কোন বিদেশিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।

প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের আলিফ ধালু ধানগেঠি আইল্যান্ডের স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহমুদ আবুবকুর হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রবাসী সেলিম মিয়া। তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাইল উপজেলার কামালপুর গ্রামে। প্রবাসী সেলিম দীর্ঘদিন ধরে মালদ্বীপের ধানগেঠি আইল্যান্ডে নেধুঙ্গে আধানব নামের একজন বয়স্ক ব্যক্তির দেখাশোনার কাজ করতেন। সেলিম মিয়া তার সাজার বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেননি।