রাজধানীর লালবাগ ও আনন্দবাজার এলাকায় আলাদা আলাদা ঘটনায় স্কুলছাত্রীসহ দুই কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো-স্কুলছাত্রী সোনালী আক্তার (১৪) ও গৃহিণী ইতি আক্তার (১৮)।
সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে তাদের দুজনকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সোনালীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা খালু জসীমউদ্দীন জানান, স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত সোনালী। তার বাবা সোহাগ ও মা বিলকিস আক্তারের সাথে অনেক বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। বর্তমানে আনন্দবাজার এলাকায় নানির বাসায় থাকতো সোনালী। আর তার মা জর্ডান প্রবাসী।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টার দিকে তার নানী ব্যক্তিগত কাজে মগবাজার গিয়েছিলেন। এসময় বাসায় একা ছিলো সোনালী। সকাল ১০টার দিকে বাসায় ফিরে তিনি দেখতে পান, ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে সে। তখন প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি স্বজনরা।
এদিকে মৃত ইতির স্বামী সজল জানান, তারা লালবাগ শহীদনগর ২ নম্বর গলির একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। ইতি গৃহিনী আর আমি জুতার কারখানায় কাজ করি।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে গত রাতে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। আজ সকালে যখন কাজে আসি তখন মেয়েকে নিয়ে বাসায় ছিল ইতি। কিছুক্ষণ পরেই আবার বাসায় ফিরে এসে দেখি, ইতি বাসার ফ্লোরে ছটফট করছেন। তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। তখন জানতে পারি বাসায় থাকা বিষ পান করেছে সে। তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তাদের দুজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।