‘মাশাআল্লাহ’ কখন ও কেন বলবেন তার ফজিলত কী

আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটি বাক্য- ‘মা-শা আল্লাহ’। এর অর্থ হচ্ছে, মহান আল্লাহ যেমনটি চেয়েছেন। আজকে আমরা জানবো এটি কখন ও কেন বলবেন ?

মাশাআল্লাহ আরবি উচ্চারণ ও অর্থ :  ( مَا شَاءَ الله) (উচ্চারণ: মাশাআল্লাহ।) অর্থ: মহান আল্লাহ যেমনটি চেয়েছেন।

মাশাআল্লাহ’ কখন বলবেন :

যেসময় মাশাআল্লাহ বলা যায় তা উল্লেখ করা হলো:

১. কারও সফলতা দেখে ‘মাশাআল্লাহ’ বলা যায়।

২. কারও ভালো কিছু করতে দেখে ‘মাশাআল্লাহ’ বলা যায়।

৩. কারও কোনো সুন্দর জিনিস দেখে ‘মাশাআল্লাহ’ বলা যায়।

মাশাআল্লাহ’ কেন বলবেন : নজর লাগা সত্য। এর মাধ্যমে ক্ষতি হয়। তবে যে জিনিস দেখে ‘মাশাআল্লাহ’ বলা হয়; তাতে কোনো বদ নজর লাগে না। ‘মাশাআল্লাহ’ বলা হলে শয়তানের প্রভাব চলে যায়। শয়তান তাতে আর কোনো ক্ষতি করতে পারে না।

মাশাআল্লাহ’-এর উত্তরে কী বলবেন : সফল, সুন্দর কিছু দেখে কেউ ‘মাশাআল্লাহ’ বললে এর উত্তরে মহান আল্লাহর প্রশংসা করে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বা ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা উচিত। এতে উভয়ের প্রশংসা মহান আল্লাহর কাছে বরকতময় হয় এবং যাবতীয় ক্ষতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পবিত্র কোরআনে ‘মাশাআল্লাহ :

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ( وَ لَوۡ لَاۤ اِذۡ دَخَلۡتَ جَنَّتَكَ قُلۡتَ مَا شَآءَ اللّٰهُ ۙ لَا قُوَّۃَ اِلَّا بِاللّٰهِ ۚ اِنۡ تَرَنِ اَنَا اَقَلَّ مِنۡكَ مَالًا وَّ وَلَدًا ) অর্থ: তুমি যখন ধনে ও সন্তানে তোমার তুলনায় আমাকে কম দেখলে, তখন তোমার বাগানে প্রবেশ করে তুমি কেন বললে না, ‘‘আল্লাহ যা চেয়েছেন তা-ই হয়েছে; আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কোন শক্তি নেই। (সুরা কাহাফ: ৩৯)