অচেনা পথ, অজানা মানুষ… ‘বাবলি’র ভালোবাসার মানুষের জীবনে কি অন্য কেউ

বিনোদন :  পরিণীতা মুক্তি পাওয়ার পর মন ছুঁয়ে নিয়েছিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। নিজেকে এমনভাবেই এই ভেঙেছিলেন এই সিনেমায়, বলা যায়, দর্শকও তাঁকে খানিক আলাদাভাবে আবিষ্কার করেছিলেন। এরপর ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে তাঁকে একেবারে অন্যভেবে দেখেছেন দর্শক। চলতি বছরের শুরুতেই রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত বুদ্ধদেব গুহ-র উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি ছবি বাবলিতে শুভশ্রীকে দেখা যাবে বলে ঘোষণাও করা হয়েছিল। তারপর পোস্টারের ঝলক আসতেই মন কেড়েছে সকলের। এর আগে টিজার মন কেড়েছিল সকলের। এবার ট্রেলারেও যে সেই চমকই বজায় থাকবে, সেকথা বলাই যায় ।

একব অচেনা পথ ধরে অচেনা মানুষের সঙ্গে দেখা হয় বাবলীর। সে যেন অ্যাডভেঞ্চারাস জার্নি। তবে বাবলির চেহারার জন্য অনেকেই তাকে একটু স্লিম হওয়ার পরমর্শ দিয়ে থাকেন। তবে সাহিত্যিক অভিবাবুর চোখে সে সুন্দরী। এভাবে শুরু হয় তাদের পথচলা।

দু’জনে সুন্দর জীবনে হঠাৎই আবির্ভাব ঘটে ঝুমা বোসের। যাকে নাকি একবার দেখলে ভোলা যায় না। পেশায় একজন বিমানসেবিকা তিনি। বাবলির সঙ্গে ধীরে ধীরে সমস্যা বাড়তে থাকে অভির। তবে কি সত্যিই ঘর ভেঙে যাবে তাদের সম্পর্ক! বুদ্ধদেব গুহর লেখা এই উপন্যাস অনক মানুষের মন ছুঁয়ে নিয়েছে আগেই। এবার পর্দায় তার প্রতিফলন কেমন হয়, সেটাই দেখার। শুধু তাই নয়, এই গল্পের মাধ্যমে আরও একবার বাঙালি সেই নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে চেনা পথ ধরে হাঁটতে পারে কিনা, সেটাও দেখার। আপাতত ১৫ অগস্টের অপেক্ষায় দর্শক। বাস্তবে এই গল্প কতটা হৃদয় ছঁয়ে নেয়, সেটাই দেখার।

এই ছবির মাধ্যমেই ১০ বছর পর আবার একসঙ্গে কাজ করবেন রাজ ও আবির। আর এই ছবির হাত ধরেই রাজ ও আবির প্রথমবার পর্দায় একজাট হয়ে কাজ করবেন। ছবির ঘোষণার পরই রাজ জানিয়েছিলেন, বাবলি তাঁর অন্যতম প্রিয় উপন্যাস। এবং ২২-২৩ বছর বয়সের বাবলি চরিত্রটি যদি কেউ পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন, তাহলে সেটা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ না।