একদফা দাবিতে নরসিংদীতে আন্দোলনকারী ও আওয়ামীলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে শতাধিক আহত হয়েছে। রবিবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার মাধবদী পৌর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নরসিংদী সদর উপজেলার চরদিঘলদি ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক মাধবধী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহীন (৩৭), মাধবদী পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল হোসেন (৪৭), মাধাবধী থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান ভূইয়া (৪৮), নরসিংদী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই ও ছোট গদাইচর এলাকার আবু সাইয়েদের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন দেলু (৪৮), মাধবধী থানার আলগী এলাকার আওয়ামিলীগের সমর্থক শাহ জাহান মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া (৪৫), মাধবদী থানা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আনিসুর রহমান সোহেল (৪৩)।
এছাড়া গুরুত্বর আহতরা হলেন মুখলেস মিয়ার ছেলে আলামিন (২৫) ও ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৩০) প্রায় শতাধিক আহত। তবে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায় নি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সকাল ১১ টার দিকে মাধবদী থানার বাস স্টেশন এলাকায় আন্দলোনকারীরা জড়ো হতে থাকে। পরে, দুপুর ১২ টার দিকে আন্দলোনকারীরা পৌর ভবনের দিকে যেতে চাইলে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করলে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে দুপুর ১ টার দিকে পুনরায় পৌর এলাকায় প্রবেশ করলে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা বাঁধা দিলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আন্দোলনকারীরা মাধবদীর বাজার এলাকায় মসজিদের সামনে ৬ আওয়ামীলীগের নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।
নরসিংদীর মাধবধী পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন বলেন,” আমাদের ৬ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখানে আন্দলোনের নামে বিএনপি-জামাতের লোকজনের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ ৬ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।