ক্যারিয়ারে নানা উত্থান-পতন দেখেছেন সাকিব আল হাসান। তবে এবার মাঠের বাইরের কারণে বড় রকম তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা। ফলে সবশেষ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই অলরাউন্ডারও পদ হারান।
সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের পুরোটা সময় নীরব ছিলেন সাকিব। তার এই নীরবতা মানতে পারেননি দেশের জনগণ। কানাডার মাঠেই সাকিবকে করেছেন লাঞ্ছিত। শেখ হাসিনা সরকার বিলুপ্ত হওয়ার পর কানাডার মাঠে আরও বেশি লাঞ্ছিত হয়েছেন তিনি। মানে, বাংলাদেশের জনগণের সাকিবের ওপর ক্ষোভের মাত্রা লক্ষণীয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে আগামী ১৬ আগস্ট সেদেশে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। তার আগে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে থাকা সাকিবের দেশে আসার কথা। তবে জনগণের এই ক্ষোভের মুখে তিনি দেশে আসবেন কি না সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
আজ বুধবার সাকিবের ফেরা নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের সহকারি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, ‘দেখুন, সাকিব আল হাসানের ১২ আগস্ট পর্যন্ত এনওসি (অনাপত্তিপত্র) আছে। ১৩ আগস্ট তার দেশে আসার কথা, আমাদের কাছে (বিসিবি) রিপোর্ট করার কথা। আজ ৭ আগস্ট, তার আরও দুই-তিনটা খেলা আছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করব এবং তার প্ল্যান জানার চেষ্টা করব।’
শাহরিয়ার নাফিস আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির গতকালের আদেশের (সংসদ বিলুপ্ত) পর সাকিব আল হাসান এখন আর সংসদ সদস্য নন। উনি একজন ক্রিকেটারই আছেন। প্রত্যেকটা মানুষেরই নিরাপত্তার ব্যাপার রয়েছে। তো, আমরা যেহেতু ১২ আগস্ট পর্যন্ত এনওসি রয়েছে। তারপরে বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়ার কথা। নির্বাচকরা এখনো পাকিস্তানের বিপক্ষে দল ঘোষণা করেনি। বাংলাদেশের জন্য যখন উনারা দল ঘোষণা করবেন—তিনি যদি টিমে থাকেন তখন একরকম আর যখন টিমে থাকবেন না তখন তো আর এনওসি লাগছে না।’