ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমাদের প্রানের একটি শহর। এ শহরে রয়েছে বাঙ্গালির পুরোনো ঐতিহ্য এবং ইতিহাস।
গত ৫ ই আগস্ট বাংলাদেশ ২য়বার এর মত স্বৈরাচার শাসন এর হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জন করার পর বাংলাদেশের সকল ছাএ-ছাএীরা ৬ ই আগস্ট থেকে রাস্তাঘাট ট্রাফিক কন্ট্রোল করার দায়িত্ব গ্রহনের সিধান্ত নেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ও এর ব্যতিক্রম নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজ এর ছাএ-ছাত্রীরা তাদের পূর্ন সমর্থন দেখিয়ে গত ৬ ই আগস্ট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক কন্ট্রোল এর দায়িত্ব নেয়, ছাএ-ছাত্রীদের এমন সিধান্তের পাশাপাশি শহরের সাধারন নাগরিকরাও উচ্ছ্বাসিত এবং আনন্দিত। ছাএ-ছাত্রীরা যথাযথ সুষ্ঠভাবে তাদের কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু এতে করে শহরের একভাগ মানুষ যেমন সন্তুষ্ট ঠিক তেমন নি শহরের আরেক শতাংশ মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকার কারনে অনেক সময় তারা ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে ব্যর্থ হচ্ছে এতে করে বাড়ছে যানজট এবং ভোগান্তি পাশাপাশি গাড়ি চালকেরা পড়ছে বিপাকে।
তবে সাধারন মানুষের দাবি সাধারন ছাত্র-ছাত্রী দের এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত করতে হবে তবেই ট্রাফিকে কিছুটা সু শৃঙ্খল বজায় থাকবে।
তবে ছাএদের উপর এ সম্পূর্ন দোষ চাপানো উচিৎ নয়, বরং শহরের রাস্তাঘাট চওড়া না হওয়া ও এর জন্য দায়ি, সেই সাথে প্রশাসন দের এ বিষয়ে নজরদারি করা উচিৎ।
পাশাপাশি গত ১০ ই আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ছাত্র-ছাত্রী রা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রং তুলি দিয়েয়ে গ্রাফিটি (ছবি) এঁকে শহিদ দের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, এতে করে শহরের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমন ই শহিদের প্রতি দেখানো হয়েছে সম্মান এবং শ্রদ্ধা, ছাএ দের এমন উদ্যোগ দেখে বলাই যায় বাংলাদেশ নতুন দিগন্তে পথে এগিয়ে চলেছে যেখানে থাকবে না কোন দুর্নীতি থাকবে না কোন বৈষম্য থাকবে শুধু দেশ প্রেম এবং মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা।