বিনোদন : কোক স্টুডিও পাকিস্তানের শিল্পী হানিয়া আসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, গতকাল রোববার (১১ আগস্ট) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। আজ ইসলামাবাদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে তারা।
হানিয়া আসলাম পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় ও মেধাবী শিল্পী। কোক স্টুডিও পাকিস্তান তাকে পৌঁছে দেয় উপমহাদেশ ও এর বাইরের সাধারণ শ্রোতাদের কাছে। শিল্পীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিল্পীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তারা। শিল্পীর মৃত্যুতে দেশটির সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরাও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সেই দলে রয়েছেন চলচ্চিত্র, সংগীত ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
হানিয়া আসলামের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মাইক্রোব্লগ এক্স-এ পোস্ট দিয়েছেন পাকিস্তানের হকি টিমের সাবেক অধিনায়ক ফাসি জাকাও। তিনি লিখেছেন, ‘হানিয়া আসলাম মারা গেলেন। ভীষণ প্রতিভাবান একজন শিল্পী এবং দয়ালু আত্মার অধিকারী ছিলেন। তিনি পরপারে ভালো থাকুন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’ তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী ফয়সাল কাপাডিয়া, অভিনেতা আলী রেহমান খান, চলচ্চিত্রকার শর্মাদ খোসাত প্রমুখ।
হানিয়া আসলাম পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। ইউলিন ম্যাগাজিন জানিয়েছে, হানিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। কানাডা থেকে সম্পন্ন করেছেন অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা। ২০০১ সালে জেব বঙ্গশের সঙ্গে যৌথভাবে ‘চুপ’ গানটি প্রকাশের পর পরিচিতি পেতে শুরু করেন হানিয়া। এর পর থেকেই সংগীতজুটি হয়ে ওঠেন তারা।
হানিয়া আসলামের চাচাতো বোন শিল্পী জেব বঙ্গশ ইনস্টাগ্রামে স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন, তারা দুজন মিলে জাদুকরি সুর সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে কোক স্টুডিও পাকিস্তানের জন্য তাদের গান মুগ্ধ করেছিল শ্রোতাদের। এই জুটির হিট গানের মধ্যে ছিল ‘চল দিয়া’। এ ছাড়া ‘লাইলি জান’, ‘কেয়া খায়াল হ্যায়’ গানগুলোও এ জুটির জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে। ২০১৪ সালে হানিয়া পাকিস্তান থেকে কানাডা চলে যান। ডিগ্রি নিয়ে ফেরার পর ‘আই রে’, কোক স্টুডিও ‘ম্যায় ইরাদা’ গানগুলোর মাধ্যমে আবারও নিজের সংগীত প্রতিভা জানান দেন। ‘লালা বেগম’, ‘মেপল রোজ’, ‘দোবারা ফির সে সিনেমাগুলোর জন্য কাজ করেছেন তিনি।