রাশিয়ার পশ্চিমে কুরস্ক অঞ্চলের ১৩ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনের সেনা। উভয় পক্ষের ব্যাপক যুদ্ধ চলছে সেখানে। এমন পরিস্থিতিতে কুরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিতাড়ন করে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাশিয়াকে অবাক করে দিয়ে ইউক্রেনের সেনারা কুরস্কে ঢুকে পড়েন। রাশিয়ার ২৮টি শহর ও গ্রাম এখন তাদের দখলে। তারপর রাশিয়া এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ এখন রাশিয়ার ঘরে ঢুকে পড়েছে।
পুতিন যা বলেছেন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি অস্থির করার জন্যই ইউক্রেন এই কাজ করেছে। তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। তারা রুশ ভূখণ্ড থেকে সরে যেতে বাধ্য হবে ও রাশিয়া সাফল্য পাবেই।
পুতিন আরও বলেছেন, ইউক্রেন এই কাজ করেছে রাশিয়ার মানুষ যাতে ক্ষুব্ধ হয় ও তাদের স্থায়িত্বে যাতে আঘাত লাগে। তাছাড়া কিয়েভ সামরিক দিক থেকে রাশিয়াকে হারাতে চাইছে। কিন্তু তার ফল উল্টো হবে। দনেৎস্কে রাশিয়ার অভিযান বহাল থাকবে। ইউক্রেন যে ভাবছে, এভাবে শান্তি আলোচনায় তারা সুবিধা পাবে, সেটা হবে না।
এদিকে, ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেছেন, আমরা কুরস্কে অভিযান চালু রাখবো। এখন পর্যন্ত এক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা আমাদের দখলে এসেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, প্রথমবারের মতো আমাদের সেনারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। আমরা আমাদের সেনা ও কমান্ডোদের কাছে কৃতজ্ঞ। কর্মকর্তাদের ওই এলাকার জন্য একটা মানবিক পরিকল্পনা বানাতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি : যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা জানতে পেরেছে যে ইরান রাশিয়াকে কয়েকশ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে। শুক্রবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলে, রাশিয়ার বেশ কয়েকজন সেনা এখন ইরানে এই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শিখছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, যদি ইরান এই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াকে দিতে চায়, তাহলে আমরাও দ্রুত ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া দেখাবো। আমরা মনে করি, এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া মানে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ইরানের সমর্থন জানানো।
সূত্র: ডয়চে ভেলে