বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যালেন সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সময় টিভিসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য সময় টিভি বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবশ্য আবারও সম্প্রচারে আসে সময় টেলিভিশন। এরপরই সামনে আসে মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত তা আদালতে গড়ায়।

আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কোম্পানির পরিচালক শম্পা রহমানকে। সময় মিডিয়া লিমিটেড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (১০ আগস্ট) গুলশানের ‘সিটি হাউজে’ সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

সময় টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টালে এ বিষয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, “অবৈধ বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে সময় টেলিভিশনের এমডি ও সিইওকে অপসারণের খবর ছড়াচ্ছে একটি মহল, যা আদৌ সত্য নয়। সময় টেলিভিশনের লাইসেন্স বর্তমান এমডির নামে। সুতরাং তাকে অপসারণ করার সুযোগ নেই।’’

লাইসেন্স নেওয়ার সময় তৎকালীন মন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাগ্নে আহমেদ জোবায়েরের নামে ৯৩ শতাংশ শেয়ার ছিল। ব্যবসায়িক ও পারিবারিক সূত্রের তথ্য, এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শেয়ার কামরুল ইসলামের হলেও কাগজে কলমে তা ছিল আহমেদ জোবায়েরের নামে।

অন্য অংশীদারদের মধ্যে কামরুল ইসলামের ভাই মোরশেদুল ইসলামের ৩ শতাংশ এবং নিয়াজ মোরশেদ ও তুষার আবদুল্লাহর ২ শতাংশ করে শেয়ার ছিল।

এরপর দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী সিটি গ্রুপ সময় টেলিভিশনে ৬৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। তাদের কাছে ৭৫ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ জোবায়েরের মাধ্যমে মন্ত্রী কামরুলের পরিবারের কাছে থেকে যায়। পরে তুষার আবদুল্লাহ সময় টিভি ছেড়ে যান।

See also  গণহারে আত্তীকরণের প্রতিবাদে এলজিইডিতে বিক্ষোভ-অবস্থান

২০০৯ সালে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা সময় টেলিভিশন পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শেষে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল বাণিজ্যিক সম্প্রচারে আসে।