জাতীয় কবিতা পরিষদ আর কোনো স্বৈরাচারের তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে না বলে জানিয়েছেন পরিষদের নতুন কমিটি। প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শ ও লক্ষ্যে সংগঠনটিকে এগিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদ জানায়, এই সংগঠনটি তার সংগ্রামী চরিত্র বদল করে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের লেজুড়বৃত্তি শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকালীন নেতাকর্মীরা এর বিরাোধিতা করলে, কয়েকজন দলদাস আওয়ামী কবি কবিতা পরিষদও দখল করে নেয়। এতে কবিতা পরিষদ হয়ে ওঠে দলবাজদের অর্থ-বিত্ত-সম্পদ এবং বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার বাগিয়ে নেওয়ার হাতিয়ার।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কবি নামধারী কিছু দুর্বৃত্তরা আওয়ামী দুঃশাসনে নিপীড়িতদের নিয়ে কিংবা হাসিনা সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও কখনও করেনি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জুলাই-আগস্টের হত্যা, নির্যাতনের প্রকাশ্য সহযোগী ছিল তারা।
এ অবস্থায় জাতীয় কবিতা পরিষদ তার প্রতিষ্ঠাকালীন মৌলিক অঙ্গীকার রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংগঠনটিকে আর কোনো স্বৈরাচারের তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা যাবে না। সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে কবি মাহেন রায়হানকে আহ্বায়ক ও কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্যদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরে ১৭ আগস্ট আহ্বায়ক কমিটির সভায় আরও ২০ জন সদস্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ সময় জানানো হয়, ‘বৈষম্য মুক্তির জন্য কবিতা’ এই স্লোগান ধারণ করে আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক মোহনায় জাতীয় কবিতা উৎসবের আয়োজন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রায়হান, সদস্য সচিব রেজাউদ্দিন স্টালিন, লেখক হাসান হাফিজ, কবি ও লেখক এবিএম সোহেল, শাহীন রেজা, গোলাম শফিক, আসাদ কাজল, কামরুজ্জামান, কবিরুল ইসলাম, সুমনা নাজনীন, শাহাবুদ্দিন, নুরুন্নবী সোহেল, শ্যামল জাকারিয়া, মানব সুরত, আফসারি আমিন প্রমুখ।