চট্টগ্রামে আট অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানো আট অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১৯ আগষ্ট) রাতে নগরের চান্দগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলাটি দায়ের করেছেন অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের (৩৭) বড় ভাই শফিকুল ইসলাম। গত ৩ আগষ্ট সন্ধ্যায় বহদ্দারহাটে বাজার করতে এসে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী শহিদুল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ‘ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। তারা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের দেলোয়ার (৪০), চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন ফরহাদ (৪৫), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. জালাল ওরফে ড্রিল জালাল (৪২), আওয়ামী লীগ কর্মী ফরিদ (৪২), সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা তাহসিন (২৭), নগর যুবলীগ নেতা এইচ এম মিঠু (৪০), জাফর (৩৮) ও ফিরোজ (৩৮)।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ৩ আগষ্ট সন্ধ্যায় বহদ্দারহাটে বাজার করতে যান নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম। তিনি বাজার শেষে বাড়ি ফেরার সময় বহদ্দার বাড়ি শাহী জামে মসজিদের সামনে গেলে এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

৩ অগাস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে নিউ মার্কেট মোড়ে সমাবেশ করে ছাত্র জনতা। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে ফেরার পথে দফায় দফায় তাদের উপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর আগে ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত চলমান সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালাতে দেখা যায়। অস্ত্রধারীদের মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে তাদের অন্যতম হলেন এই আটজন। এসব হামলায় চট্টগ্রামে চার শিক্ষার্থীসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়।

See also  ঝালকাঠিতে খাদ্য কর্মকর্তার এক বছরের কারাদণ্ড

এর আগে আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা মোহাম্মদ পারভেজের দায়ের করা হত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো অস্ত্রধারীদের নাম এজাহারভুক্ত হয়।

সে সময় বাদী মোহাম্মদ পারভেজ বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলা করেছিল, সেই মামলায় দলীয় ক্যাডারদের পরিচয় উল্লেখ না করে কৌশলে অস্ত্রধারীদের রক্ষা করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল।