বিনোদন : এক সময়ের ছোট পর্দার প্রিয়মুখ তারিন জাহান। বিএনপি’র আমলে ছিলেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেত্রী, আর আওয়ামীলীগ আসার পর হয়ে গেলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রী। বিএনপি’র আমলে সুযোগ সন্ধানী এই অভিনেত্রী এখন বড় মাপের আওয়ামী লীগের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হিসাবে এবারও তার নাম ছিলো জুড়ে- সড়ে।
অভিনেত্রী তারিন জাহান যে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেত্রী ছিলেন তার প্রমাণ এই ছবিটি। এটি জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) এর একযুগ পূর্তিতে সংগঠনের বিশিষ্ট সদস্যদের মাঝে সম্মাননা ও পদক দেওয়ার অনুষ্ঠান। সেখানে এক সঙ্গে সম্মাননা ও পদক নিচ্ছেন সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম ও তারিন জাহান।
১৯৮৫ সালে নতুন কুঁড়িতে অভিনয়, নাচ এবং গল্প বলা প্রতিযোগিতায় প্রথম হন তারিন জাহান। বিএনপি’র আমলে প্রায় সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ডাক পড়তো এই অভিনেত্রীর। শুধু তাই নয়? সেই সময়কার প্রায় সব মন্ত্রী- এমপিদের সঙ্গে ছিলো তারিনের বেশ সক্ষতা।
এই অভিনেত্রী আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি খোলস পাল্টে হয়ে যায় নব্য আওয়ামী লীগের। যোগ দেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে। আর এই সময়টাতে আওয়ামীলীগের যে কোনো অনুষ্ঠানেই ডাক পড়তো এই অভিনেত্রীর। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মন্ত্রী- এমপির হাতে ঘুরে পৌঁছে যান প্রধান মন্ত্রির শেখ হাসিনার নজরে। তারপর থেকে সরকার দলের হয়ে মাঠে ময়দানে সক্রিয় হন তারিন। আর উদ্দেশ্য এমপি হবেন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নমিনেশন পাননি তারিন। প্রচলিত আছে, সেই সময় সরকার দলের এক মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক করে খুব দ্রতই রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হন এই অভিনেত্রী। তারপরই শুরু হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি। এই তালিকায় তারিন ছাড়াও ছিলেন আরও কিছু শোবিজ তারকা। তকে এই দৌড়ে সব সময়ের মতো এগিয়ে ছিলেন তারিন। অবশেষে মন্ত্রী-এপিদের ঘরে ঘরে গিয়েও লাভ হয়নি এই অভিনেত্রীর।
তারিন জাহানরা মূলত সু সময়ের বন্ধু। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গ্লাসের, ক্রেজ, রুপ লাবণ্য ব্যবহার করে , বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দনের নেতাদের সন্তুষ্ট করে আসছেন ব্যক্তিগণ ফায়দা লুটার জন্য। সুযোগ বুঝে দল পরিবর্তন করে রাজনীতির মাঠ গরম করে চেষ্টা করছেন এমপি হবার জন্য।