কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর থেকে এক নারী ও চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকের বলে জানিয়েছে বিজিবি।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার ছুরিখাল সংলগ্ন নাফ নদী থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার ছুরিখাল সংলগ্ন নাফনদীর তীর এলাকায় পাশাপাশি স্থানে চারটি শিশু ও একটু দূরে আরও একজন নারীর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন পৃথক স্থান থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার করা মরদেহগুলো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা গেছে। পরে টেকনাফের ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে বসবাসরত নিকট আত্মীয় (ভগ্নিপতি) দিল মোহাম্মদ মরদেহগুলোর দাফন কার্য সম্পাদনের জন্য নিয়ে যান।
শালবাগান রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শালবাগান রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কবরস্থানে পাঁচজনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ওইদিন রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় তারা মারা যান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, নাফনদীর তীর থেকে উদ্ধার ৫ মরদেহের কোনো ধরনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তবে দিল মোহাম্মদ নামে একজন রোহিঙ্গা নাগরিক মরদেহগুলোর নিকট আত্মীয় দাবি করে দাফনের জন্য ব্যবস্থা করেছেন।