প্রতিনিধি : রনজিৎ সরকার রাজ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন তারই কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা, তারা আল্টিমেটাম দিয়েছে দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে নিজপাড়া ইউনিয়নের কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে ছুটে যান নিজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুর রহমান আনিস।তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি পুরনের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। স্কুলে গিয়ে দূর্নীতি পরায়ন, স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম কে পাওয়া যায় নাই। তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এটি আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করি, কেননা দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেও পরিনামে ভুগতে হচ্ছে, এটি দুঃখজনক।
টাকার বিনিময়ে মেধা শুন্য শিক্ষক এবং অদক্ষ কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিটি নিয়োগ একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে, শুধুই কাগজে কলমে কিন্তু অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তৎকালীন এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল প্রতিটি নিয়োগে নিম্মে ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা বা তার উর্দ্ধে ঘুষ নিয়ে দেধারসে নিয়োগ বানিজ্য করেছেন।
এতে অনেক নিয়োগ প্রাপ্তদের শেষ সম্বল ভিটে মাটি বিক্রি করতে হয়েছে, যা কিনা নিঃসন্দেহে অমানবিক। বিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দাবী করেন, টয়লেট, সাইকেল গ্যারেজ, মাঠ মেরামত ও সংস্কারের জন্য তাদের নিকট চাঁদা উত্তোলন এবং সকল প্রকার ফি অতিরিক্ত আদায় করে প্রধান শিক্ষক আত্মসাত করেছেন, এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন, ছাত্রছাত্রীদের এমন দাবী অসত্য, আমি কোন চাঁদা তুলি নাই এবং সরকারী নির্দেশনা ও ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে অতিরিক্ত কোন ফি নেই নাই।এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরিয়াস সাঈদ সরকার জানান,শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অযৌক্তিক, নিজপাড়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এমএ খালেক সরকারের পরামর্শে ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে।
এসব করে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে। তাতে লাভ নেই। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।