“আখাউড়ায় ভারতের পানিতে বন্যা: ৩৪টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী

লিটন হোসাইন জিহাদ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা ভারতের উজান থেকে নেমে আসা প্রবল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। গত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাত এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টির ফলে এই এলাকার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে আখাউড়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখন পানির নিচে।এই পরিস্থিতিতে আখাউড়ার ৩৪টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া এবং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গ্রামগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৫০০ পরিবারের কৃষিজমি, সবজি ক্ষেত এবং মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে, যার ফলে কৃষকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির কারণে ভারত থেকে দ্রুতগতিতে পানি প্রবাহিত হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরসহ বাউটলা, কালীকাপুর, বিরচন্দ্রপুর, সাহেবনগরসহ আশেপাশের গ্রামগুলোতে প্রবেশ করে।এতে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে এবং স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়াও গাজিরবাজার এলাকায় অস্থায়ী সেতু ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যার কারণে হাজারো পরিবার এখন বিপর্যস্ত। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেশ কিছু গ্রামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আহত এবং ভুক্তভোগী পরিবারদের সহায়তা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ বিতরণে নেমেছে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, নুন, শুকনো খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে যদি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, এলাকাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার এবং চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কাজ করছে

See also  ফেনীতে বন্যার পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু, ৬ জেলার ৪৩ উপজেলা প্লাবিত