(Power of Youth)আ বার ও একবার গর্বের সাথে বলতে মন চায়, আমি বাঙালি। বাঙালি জাতি কোনো দুর্যোগে একতার সাথে নির্ধিধায় ঝাপিয়ে পড়তে পারে, তা আবার ও প্রমাণিত হলো। এই বন্যা পরিস্থিতিতে যে ভাবে স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে তাতে সারা বিশ্ব জানবে বাঙালি শুধু লড়াই করতে জানে না, বাঙালির অস্তিত্বে মিশে আছে সহযোগিতা আর সহমর্মিতা।
জুলাই বিপ্লবের পর তরুনদের মাঝে তারুন্যের এমন উদ্যম চলে এসেছে এখন আর কোনো ভয়, দমন পীড়ন কাউকে আটকাতে পারে না। সকল সংকীর্ণতা আর জরাজীর্ণতার দেওয়াল ভেঙে মানুষ এখন স্বাধীন চিত্তে মনের কথা বলতে পারে।
এখন আর দেশটা একজনের নয়। দেশটা এখন সবার। দেশপ্রেমের এই অনুভূতিটুকু তরুনদের মধ্যে এমন অফুরান শক্তি সঞ্চয় করে দিয়েছে, এখন হাঁটতে চলতে ফিরতে সবাই আনন্দের জয়গান গেয়ে যাচ্ছে।
কতো বছর পর বাংলাদেশের মানুষের ঘুমন্ত সত্তা জেগে উঠেছে। কতো বছর পর মানুষ দেশটাকে নিজের মনের মতো করে সাজাতে পারছে, এই আনন্দ এই অনুভূতি, এই উচ্ছ্বাস কখনোই বলে শেষ করা যাবে না।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনো অনেক সাধারণ মানুষ, তারুণ্যের এই শক্তিকে সম্পূর্ণ শুভ দৃষ্টিতে দেখতে পারছে না। কোথাও কোনো অরাজকতা দেখলেই ছাত্রদের দোষারোপ করছেন।
আমাদের তো ভুলে গেলে হবে না,
এই বিশাল সময়ে অন্ধকার জগতের শাখা প্রশাখা এতটা বিস্তার লাভ করেছে যে চাইলেই তো কিছু সময়ে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। সুযোগ সন্ধানীরা সুযোগ মতো অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
তবে শত্রুরা হুশিয়ার। আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। আর কোনো ভয় কারো কন্ঠ চেপে ধরতে পারবে না।
তরুনরা এখন লড়তে জানে, তরুনরা এখন মরতে পারে, তবুও দেশকে আর শত্রুর কাছে ছাড়তে পারে না।