সময় এখন জাগরণের কাব্যগ্রন্থ: এক দু:শাসনের দলিল ও বিদ্রোহের কবিতা: কবি এবং লেখকেরা অনেক সময় তাঁদের লেখনীতে সমাজের অবিচার, অত্যাচার এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরেন। “সময় এখন জাগরণের কাব্যগ্রন্থ” একটি এমনই একটি সাহিত্যকর্ম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি বিশেষ সময়কে চিত্রিত করেছে। এই কাব্যগ্রন্থটি শুধুমাত্র কবিতা নয়, এটি একপ্রকার বিদ্রোহের ভাষ্য, যেখানে কবি রাষ্ট্রের নির্যাতন এবং মানুষের ওপর অত্যাচারের বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
কাব্যগ্রন্থের শুরু থেকেই কবির এক ধরনের বেদনাবোধ এবং দুঃখের প্রতিফলন দেখা যায়। কবিতাগুলিতে রাষ্ট্রের অসংগতি, বিশেষ করে শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা এবং নির্যাতনের কাহিনী ফুটে উঠেছে। কবি নিজের যন্ত্রণাগুলিকে শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি নিঃশব্দ কণ্ঠস্বরের কথা বলেছেন, যার সাহস ছিল না অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার। এই কাব্যগ্রন্থে জেলখানার বিষাক্ত স্মৃতির কথাও উঠে এসেছে, যা কবির মনে গভীর ক্ষত রেখে গেছে।
“সময় এখন জাগরণের কাব্যগ্রন্থ” শুধু একটি কাব্যগ্রন্থ নয়, এটি একপ্রকার সময়ের দলিল। এটি বাংলাদেশের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের প্রতীকী দলিল হিসেবে গণ্য হতে পারে। এখানে কবি সেই সময়ের বিদ্রোহী মানসিকতা এবং মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থান যে পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে এসেছিল, সেই বার্তাকেও কবি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাঁর কবিতায় তুলে ধরেছেন।
এই কাব্যগ্রন্থটি সেই সময়ের যুবসমাজের ভাবনা, চিন্তা এবং বিদ্রোহী মনোভাবের প্রতিফলন। কবি তাঁর কবিতার মাধ্যমে একটি সময়কে নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেখানে বাঙালিরা নিজেদের অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। “সময় এখন জাগরণের কাব্যগ্রন্থ” এক ধরনের স্মৃতিচারণ, যা আমাদের সেই সময়ের কথাগুলো মনে করিয়ে দেয়, যখন মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য মানুষ রাস্তায় নেমেছিল।