আন্তর্জাতিক: পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল ও লেবানন। আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) ভোর থেকে লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। জবাবে ইসরায়েলে রকেট ছুঁড়ছে হিজবুল্লাহ।
এ নিয়ে সীমান্তে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কতা জারি করেছে ইসরায়েল। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ভোর থেকে তাদের যুদ্ধবিমানগুলো লেবাননে হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। ইসরায়েলের দিকে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট নিক্ষেপ করার স্থানগুলো শনাক্ত করার পরই সেখানে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।
আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, হিজবুল্লাহর হুমকি নির্মূল করার জন্য আত্মরক্ষামূলক আইনে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে আইডিএফ।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার আগে ইরান-সমর্থিত শিয়া মুসলিম গ্রুপ হিজবুল্লাহ সক্রীয় রয়েছে, লেবাননের এমন এলাকা অবিলম্বে ছেড়ে যাওয়ার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে বড় আকারের রকেট ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। তারা বলছে, গত মাসে হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শোকরকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে তারা।
রবিবার সকালে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা মেরন ঘাঁটি এবং অধিকৃত গোলান হাইটসের চারটি এলাকাসহ ইসরায়েলি ১১টি সামরিক ঘাঁটি ও ব্যারাকে ৩২০ টিরও বেশি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জের ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট তেল আবিবে আইডিএফের সামরিক ঘাঁটি থেকে পরিস্থিতি পরিচালনা করছেন।
জুলাই মাসে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিয়া গ্রুপের সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শোকর নিহত হন।
গত বছরের ৭ অক্টোবরে গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গেও গুলি বিনিময় করছে। হিজবুল্লাহর মতো হামাসও ইরান সমর্থিত।