কালীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট: নারীসহ আহত ৯

কালীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট: নারীসহ আহত ৯

জাকারিয়া আল মামুন, কালীগঞ্জ : গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর্ নারীসহ ৯ আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় বাড়িঘর এবং দোকান ভাংচুর, স্বর্ণ লুট এবং শ্লীলতাহানী সহ একাদিক অভিযোগে মামলা হয়। মামলার এজহার ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় গত ১৭ই আগষ্ট শনিবার সকাল ১১.৩০ এর সময় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে জামালপুর কলেজ মাঠে প্রবাসী শরিফুল ইসলাম মিলন এবং রিনা বেগমের ছোট ছেলে মিরাজ মাহমুদ সকালের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল ১১.৪০ এর সময় প্রবাসী শরিফুল ইসলাম মিলনের বসত বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় শরিফুল ইসলাম মিলনের স্ত্রী রিনা বেগম (৪১), ছেলে মেহেদী হাসান শাকিল (২৬) এবং মিরাজ মাহমুদ সকাল (১৭), মেহেদী হাসান শাকিল এর স্ত্রী সনিয়া আক্তার(২২), আকামউদ্দিন মোড়ল এর ছেলে মনির হোসেন মনু (৫০) এবং সুমন মোড়ল(৪০), নাজিম উদ্দিন এর ছেলে মকবুল হোসেন (৩৮), নুরউদ্দিন এর ছেলে তুহিন মোড়ল(২০), মকবুল হোসেন এর ছেলে মাহিন হাসান(১৫) গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে আহত হন বলে জানান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত ডাক্তার সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মনির হোসেন মনুকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে, মকবুল হোসেনকে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে, মিরাজ মাহমুদ সকালকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুরে রেফার করেন। এই ঘটনায় প্রবাসী শরিফুল ইসলাম মিলনের স্ত্রী রিনা বেগম (৪১), জামালপুর গ্রামের শরিফুল বেপারী, পনির বেপারী, রফিকুল বেপারী, মনির বেপারী, হাবিবুর রহমান হাবিব, হারুন বেপারী, আজিজুল বেপারী, মান্নান বেপারী, লুৎফর মোড়ল, অরিফ বেপারী, হৃদয় বেপারী এবং রনি বেপারী সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। মামলা নং ২/১৭৬।
প্রবাসী শরিফুল ইসলাম মিলনের স্ত্রী রিনা বেগম জানান, বিবাদীদের সাথে আমাদের গত এক বছর পূর্ব থেকে শত্রুতা চলছিলো। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি,ছুরি,দা, লোহার রড, লাঠি, ইত্যাদি নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। হামলায় আমাদের নয় আহত হয়েছে। বাড়িঘর ও দোকানে হামলা ও ভাংচুর করে লুটপাট করে স্বর্ণ, নগদ টাকা করে নিয়ে যায়। মামলার বাদী রিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান আসামিরা ঘটনার পর থেকে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

See also  ওসি ফিরোজ হোসেন বদলি

ঘটনায় অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে এলাকায় একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আসামী ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আজিজুর রহমান বলেন আমি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহাতাব উদ্দিন স্যার এর নির্দেশনায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ কয়েকবার আসামি ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা করেছি এবং আসামীদের ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।