ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। করপোরেট পেশাজীবী থেকে শুরু করে দিনমজুর-রিকশাচালকসহ নানা বয়স, শ্রেণি, পেশার মানুষ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন এখানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) স্রোতের মতো ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসছেন নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে টিএসসি ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সেখানে আরও দেখা যায়, ছোট ছোট পিকআপে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আসছে ত্রাণের জন্য। ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়েও আসছেন অনেকে সহায়তা করতে।
তাছাড়া টিএসসিতে প্রবেশ পথের পাশে গণ ত্রাণ সংগ্রহ বুথ বসানো হয়েছে। সেখানে তালিকাভুক্ত করে ত্রাণ রাখা হচ্ছে টিএসসির অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কক্ষে। সেখানে প্যাকেজিং করে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায়। এগুলো কাভার্ড ভ্যানে করে বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছানো হবে।
টিএসসি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ত্রাণ সংগ্রহ বুথে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। যার কাছে যা কিছু আছে তাই বন্যার্তদের জন্য দিচ্ছেন। রিকশা ও পিকআপে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসছেন। মুড়ি, বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি, বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার, কাপড়-চোপড়, তেল, চাল, লবণ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ওষুধ, স্যালাইনসহ এমন সব কিছুই ত্রাণ তহবিলে দিচ্ছে মানুষ। পাশাপাশি নগদ টাকাও দিচ্ছেন অনেকে। গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন স্তরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরাই। কেউবা দান করা টাকার হিসাব রাখছেন, আবার কেউ খাবার, কাপড়সহ অন্য ত্রাণসামগ্রী আলাদা আলাদা করে গুছিয়ে রাখছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকে আসছেন আবার অনেক প্রতিষ্ঠান থেকেও টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কার্টনে কার্টনে পাঠানো হচ্ছে। এত জিনিস আমাদের নিজেদেরও লোকবল বাড়াতে হচ্ছে। ট্রাকে, ভ্যানে, ঠেলাগাড়িতে জিনিস আসছে।
শিক্ষার্থী আরও বলেন, আজকে সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষ ত্রাণ সহায়তা ও নগদ টাকা নিয়ে আসছেন।আমরা অনুমান করছি আজকে রাতে শুধু নগদ অর্থের পরিমাণই ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এত জিনিস আমাদের নিজেদেরও লোকবল বাড়াতে হচ্ছে।
দেশের এই ক্রান্তিকালে ছাত্র সমাজই দেশকে পথ দেখিয়েছে। তাদের হাত ধরেই আমরা যে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রুখে দেবো। আমরা সবাই এক থাকলে কোনো শত্রুই আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। সামর্থ্য অনুযায়ী আমি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমি চাই দেশের প্রতিটি মানুষ এতে অংশগ্রহণ করুক।