রিকশাচলকরা বলছেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে, কর্তৃপক্ষ তাদের কথা না শোনায় আজ রাস্তায় নেমে এসেছেন।

শাহবাগ অবরোধ করে রিকশাচালকদের বিক্ষোভ

ব্যাটারিচালিত রিকশাকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে সেটি নিষিদ্ধ করাসহ ৭ দফা দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন প্যাডেল চালিত রিকশাচালকরা। ফলে শাহবাগ মোড়কে ঘিরে থাকা প্রতিটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই কর্মসূচির আয়োজন করে বৃহত্তর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রিকশাচলকরা বলছেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে, কর্তৃপক্ষ তাদের কথা না শোনায় আজ রাস্তায় নেমে এসেছেন।

রিকশাচলকরা বলেন, অটোরিকশা চালকরা ১০০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা হলেই চলে যায়। তাদের জন্য প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা যাত্রী পান না এবং ন্যায্য ভাড়া পান না। সারাদিন রিকশা চালিয়ে তারা পর্যাপ্ত টাকা উপার্যন করতে পারেন না।

তারা আরও বলেন, অটোরিকশা চলার অনুমতি নেই ঢাকায়। তারপরও দেদারছে চলছে অটোরিকশা। পায়ের রিকশার বৈধতা আছে, নাম্বার আছে। এর জন্য প্রতি বছর ৩০০ টাকা ফি দিতে হয়। এই শেখ হাসিনা অবৈধ অটোরিকশা চালানোর অনুমতি দিয়ে আমাদের বৈধ রিকশাকে অচল করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাত বছরে মোট তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ থ্রি-হুইলার ও ইজিবাইক বন্ধ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে অটোরিকশার আমদানিও নিষিদ্ধ করা হয়।

এ বছর মে মাসের ১৫ তারিখ তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন। এরপর বিক্ষোভে নামেন অটোরিকশা চালকরা। পরে ২০ মে ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার অটোরিকশা বন্ধের ব্যাপারে নেওয়া সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাতিল করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

See also  এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বন্যা মোকাবিলা : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস