গত ১৫ বছরে এদেশের শিক্ষার্থীদের সাথে জ’ন্তু-জা’নো’য়া’রের মতো ব্যবহার করেছে ছাত্রলীগ নামক নরপ’শুরা! প্রজন্মকে এরা একেবারেই ধ্বং’সের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।
সময়টা ২০১৯ সাল।
তখন আমি ইন্টারমিডিয়েট এ পড়ি ভুরুঙ্গামারী সরকারী কলেজ এ। (কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারীর উপজেলার একটি কলেজ)
আমার বাসা থেকে কলেজ অনেক দূরে হওয়ার জন্য মেসে থাকতাম। তখন নাম্বার ওয়ান নামে একটা মেস ছিল কলেজের পাশেই। (বর্তমানে নেই)
তখন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতারা প্রায় প্রতিটা দিনই মেস এ আসত। একেকদিন একেক জনের রুমে বসত। দিনে ৩/৪ বারও আসত।
তাদের আসার উদ্দেশ্য ছিল তারা ই’য়া’বার ব্যবসা করত। তাদের নিয়ে আসা খদ্দেরকে নিরাপদে ই’য়া’বা সেবন করাত ও নিজেরা সে’ব’ন করত।
মেসে আসার কারন মেসে পুলিশ রেট দিতো না। তাদের আরো কিছু নিত্যদিনের কাজ ছিল কোনো ছেলে মেয়েকে একসাথে ঘুরতে দেখলে মেসে ধরে আনত ও সাথে থাকা মোবাইল টাকা পয়সা নিয়ে মা’র’পি’ট করে ছেড়ে দিত।
ধরে আনা ছেলে মেয়ের আর্থিক অবস্থা ভালো হলে মোটা অংকের টাকা নিত বাবা মা কে ফোন করে। নয়ত হেনেস্তা করার ভয় দেখাতো। তাদের আরেকটা কমন কাজ ছিলো মেয়ে নিয়ে আসত মেসে। তারপর একটা রুম তাদেরকে ছেড়ে দিতে হতো।
নিয়মিত মিছিল মিটিং এ যাওয়া তো কমন ব্যাপার ছিল। মিটিং এ গেলে তাদের প্রথম কথা থাকত কোনো ছেলে শিবির করতে পারবেনা। শিবির করে ধরা পড়লে তার কোনো মাফ নাই। এইটা বলে হুশিয়ার করে দিত।
তাদের জ্বালায় মেসের ২ টা বছর একটা দিনও শান্তিমতো থাকতে পারি নাই। পড়াশোনা লাইফ এ ঐ সময়টাই ছিল জীবনের সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা।