বন্যার পানি কমছে, ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠছে

ফেনী জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, কিন্তু এর সঙ্গে এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠছে। এই বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে হাজার হাজার পরিবারকে এবং ডুবিয়ে দিয়েছে ফসলি জমি, পুকুর, এবং বসতবাড়ি। মুহুরী, কহুয়া, এবং সিলোনীয়া নদীর পানির স্তর বিপৎসীমার নিচে নামলেও বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকে পড়ছে, যা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তুলছে।

ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকায় গ্রামীণ সড়ক ভেঙে গেছে, এবং সাত দিন ধরে জেলা সদর থেকে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। যদিও বর্তমানে যোগাযোগ পুনরায় কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে, তবে রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। স্থানীয়রা জানান, পুকুরের মাছ সম্পূর্ণভাবে ভেসে গেছে, যা প্রায় ৮০ লাখ টাকার সমপরিমাণ ক্ষতি করেছে। এছাড়া, বন্যার পানিতে মানুষের ঘরবাড়ি, বিশেষ করে রান্নাঘর এবং খাদ্য মজুদ ধ্বংস হয়েছে। এতে খাদ্য সংকট ও বাসস্থানের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে​(

,

,

,

)

ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর পরও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি এবং কৃষিজমি হারিয়ে চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে জানান, নদীর স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করছে, যেখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার এখন এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে, তবে চ্যালেঞ্জগুলো এখনো বিদ্যমান রয়েছে।