বর্ষাকালে শেখ হাসিনা সড়কটি দর্শনার্থীদের জন্য একটি অসাধারণ মনোমুগ্ধকর স্থান যেখানে সড়কের দু পাশে বিশাল পানি রাশি এক অনাবিল প্রশান্তি বয়ে আনে।
এই সড়কটি এখন শুধুমাত্র একটি যাতায়াতের পথ নয়, এই সড়কটি স্থানীয়দের জন্য একটি প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে, যেখানে কেউ বা হাটাহাটি করে, কেউ রিকশা ভ্রমন করে আবার কেউ ব্রিজের উপর দাড়িয়ে বা বসে ফটোসেশান করছে।
সড়কের দু পাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিট ফুড, ফুচকা, ঝাল মুড়ি, আখের জুস, লেবুর জুস। এছাড়াও এই সড়কের জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চোখ ধাধানো রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টের মনোরম পরিবেশ দেখে অনেকেই অন্তত ফটোসেশান করতে রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে।
এছাড়া অনেকেই বিকেল বেলার স্নিগ্ধ শীতিল পরিবেশে নৌকা ভ্রমন করছে। ঘন্টা হিসেবে নৌকা ভ্রমনের ও সুব্যবস্থা রয়েছে।
শেখ হাসিনা সড়কের চারপাশে রোপণ করা হয়েছে গাছপালা ও বিভিন্ন ধরণের সজ্জা, যা সড়কটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সন্ধ্যায় সড়কের লাইটগুলো এক অনন্যসাধারণ পরিবেশ সৃষ্টি করে।
এই সড়কে সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেল চলাচল করে। তরুনদের বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো এবং হর্ণ বাজানো অনেক বেশি ঝুকিপূর্ণ এবং উদ্বেগজনক বলে অনেকে মনে করেন।
গোধগোধূলি লগ্নে শেখ হাসিনা সড়কটি এক অপূর্ব রূপ ধারণ করে। আকাশের রক্তিম রঙ, সবুজ গাছ, নদীর পানি এ যেন চিত্রকারের ক্যানভাসে এক অপরূপ চিত্রকর্ম। প্রকৃতি প্রেমিরা এই মোহনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দলে দলে বেড়াতে আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নান্দনিক শেখ হাসিনা সড়কে।