জামালপুর-নিউজ-পথিকটিভি

জামালপুরে হোমিও কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

জাকিরুল ইসলাম,জামালপুর: অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জামালপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের বিভিন্ন পদে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ম্যানেজিং কমিটি সদস্যরা

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ গেইটে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন,অধ্যক্ষ ডাঃ মনিরুজ্জামান খানের অসধআচরণ, স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হওয়ার ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম,শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে আমরা অত্র কলেজের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ বৈষম্যে শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।

এ সময় বক্তারা বলেন,কলেজে তিনজন হোমিওপ্যাথিক গ্র্যাজুয়েট থাকা সত্ত্বেও কলেজ নিয়ম বর্হিভূত ভাবে নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য পদোন্নতির দরখাস্ত আহ্বান করেন। পরবর্তীতে তিনজন জৈষ্ঠ্য শিক্ষক যথাক্রমে ডাঃ এটিএম রুহুল আমিন সহকারী অধ্যাপক, ডাঃ মোঃ আতিকুল, ইসলাম সহযোগী অধ্যাপক, ডাঃ খলিলুর রহমান সহকারী অধ্যাপক মহোদয়গণ অধ্যক্ষ পদে আবেদন করে আবেদন পত্রের রিসিভ কপি গ্রহন করেন। অতঃপর নিয়ম বর্হিভূতভাবে সিলেকশন কমিটি গঠন ব্যতিরেকে কাউকে না জানিয়ে ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান খান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন বিতর্কিত জেলা প্রশাসক জনাব আহমেদ কবীর অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সরাসরি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থেকে অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি দেন।

ডাঃ মনিরুজ্জামান খান অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করার পর রেজিস্ট্রেশন বিহীন নামসর্বশ্ব কতিপয় হোমিও কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করে পূর্ণ টাকা ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করে শুধুমাত্র বোর্ড ফি দিয়ে অত্র কলেজের নামে রশিদ কাটিয়া ফরম ফিলাপ করানো হয়। এখান থেকে ও অত্র কলেজের ফরম ফিলাপে অনিয়ম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এর প্রতিবাদ করায় গত ২৯ আগস্ট অধ্যক্ষ ১৫-২০ জন সশস্ত্র বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে কলেজে প্রবেশ করেন। অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতার পুত্র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ডাঃ শাহেদ মির্জার উপর অতির্কিত ভাবে আক্রমন করে হেনস্তা করেন।

See also  সারা দেশে দূর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ কোনো অপরাধ চলতে দেয়া যাবে না: মাওঃ সাজিদুর রহমান

তার অধীনস্থ’ উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উক্ত বিষয়টি স্বচক্ষে দেখে হতভম্ব ও আতংকিত হয়ে কলেজের বিভিন্ন জায়গায় আত্মরক্ষার জন্য ছুটাছুটি করিতে থাকেন। তার এই এহেন কর্মকান্ডে বর্তমানে শিক্ষক কর্মচারী,ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান খানের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোন পাওয়া যায়নি৷

তাই একযোগে সম্মিলিত ভাবে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ মনিরুজ্জামান খানের পদত্যাগ দ্রুত কার্যকরের জোরদাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্ধ৷