ইতালির ভিসাসহ জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট ফেরতের দাবিতে গুলশানের বিচারপতির শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আবেদনকারীরা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।
একই দাবিতে বেলা ১১টার দিকে গুলশানে ইতালি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিও দিয়েছেন তারা। আবেদনকারীদের অভিযোগ, কৃষি ভিসা আবেদনের সময় ৯০ দিন প্রসেসিং সময় দিয়েছিল অ্যাম্বাসি। কিন্তু আবেদনকারীদের অনেকেরই দুই থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত পাসপোর্ট ফেরত দেয়নি। অন্যদিকে পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় বিকল্প দেশও তারা যেতে পারছেন না। সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থান নিয়েছেন পাঁচ শতাধিক লোক।
ইতালির ভিসাসহ পাসপোর্ট ফেরতের দাবিতে গুলশানে গণঅবস্থান
এ সময় তারা ‘ভিসাসহ পাসপোর্ট ফেরত চাই’, ‘অপেক্ষার আর সময় নাই’, ‘ইতালির দূতাবাসের ভিসা সেকশনের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য ১০ গুণ লোক চাই,’ ‘দেশের জন্য পরিবারের জন্য একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হতে চাই,’ ‘ইতালি ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য বন্ধ করো,’ স্লোগান সংবলিত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর কৃষি ভিসার আবেদন করেছিলেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সুলতান আহমেদ। ভিসা প্রসেসিং করার সময় তাকে ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল। প্রায় এক বছর হতে চললো এখন পর্যন্ত তাকে আর কোনো আপডেট জানানো হয়নি।
একই সময়ে ভিসা আবেদন করেছিলেন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের মিলন। তিনিও এক বছরের মধ্যে ভিসার কোনো আপডেট পাননি। আলাপকালে মিলন বলেন, ভিসা এবং পাসপোর্টের তথ্য চেয়ে দূতাবাসে ইমেইল করেছি। তখন দূতাবাস থেকে বলা হয়, জরুরি হলে পাসপোর্ট তুলে নিতে। এক্ষেত্রে ভিসা দেওয়ার বিষয় তারা কিছু জানাচ্ছেন না।
চার বছর মালয়েশিয়ায় ছিলেন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের সাইদুল ইসলাম। ছুটিতে এসে তিনিও ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করেন। সাইদুল বলেন, তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ইতালির একটি কোম্পানিতে কৃষিতে কাজের জন্য ভিসার আবেদন করেছেন। ওই কোম্পানি অনুমোদন দেওয়ার পরে সব কাগজপত্র নিয়ে গত বছরের ২৭ আগস্ট ইতালি দূতাবাসে আবেদন করি। এখন পর্যন্ত দূতাবাস থেকে কোনো আপডেট জানানো হচ্ছে না।