প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ইরাক সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। স্থানীয় সময় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) তিনি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পৌঁছেছেন। তেহরান এবং ওয়াশিংটন উভয় দেশেরই কৌশলগত মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত ইরাক। ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটি বন্ধুত্ব বজায় রেখেছে তারা।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান উভয়েরই অংশীদার দেশ ইরাকে প্রায় দুই হাজার ৫শ মার্কিন রয়েছে এবং ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ক্রমাগত হামলার ঘটনা ঘটছে। পেজেশকিয়ান তার এই আনুষ্ঠানিক সফরের আগে বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করছি। আমরা বাগদাদে ইরাকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবো।
ইরাক থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীকে প্রত্যাহারের পরিকল্পনার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে ইরাক এবং যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের ওপর বারবার হামলা চালাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পেজেশকিয়ান ইরাকের কুর্দিস্তান সফর করার বিষয়েও পরিকল্পনা করেছেন। এটি এমন একটি অঞ্চল যেখানে ইরান অতীতে হামলা চালিয়েছে। তেহরানের দাবি, ইরানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি তাদের চিরশত্রু ইসরায়েলের এজেন্টদের জন্য একটি মঞ্চস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ওই অঞ্চল।
আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিষয়ে ইরানের উদ্বেগ মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে বাগদাদ। তেহরানের সঙ্গে ২০২৩ সালের একটি নিরাপত্তা চুক্তি অনুযায়ী কিছু সদস্যকে স্থানান্তরিত করবে তারা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ইরাকে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সফরের আগে বলেছেন, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক … এবং নিরাপত্তা সমস্যাসহ আমাদের বেশ কিছু সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে।