গত সরকারের আমলে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে শত শত প্রকল্প হয়েছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, অনেক ব্যয়বহুল প্রকল্প হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর রিটার্নের পরিমাণ খুবই নগণ্য, যা ভ্যালু ফর মানি হয়নি। বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতেও একই অবস্থার কারণে এ খাতে খরচ এবং দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-জনতার রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত। তাই এ সরকারের ভিত্তি খুব দৃঢ়। সরকার মানুষকে স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কিন্তু এটা বেশ শক্ত কাজ।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির খরচ বাড়িয়েছে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প: জ্বালানি উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং এ ক্ষেত্রে দক্ষতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা। এ সময় তিনি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তা প্রাপ্তির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে নথি চুরি করেন মিথুন শীল’‘প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে নথি চুরি করেন মিথুন শীল’
সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে গেইল মার্টিন বলেন, বর্তমান সরকারের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ উপদেষ্টার সাথে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাজেট সহায়তার প্রাপ্তির ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।