ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, দায়িত্ব পালনকালে পোশাকে, উপস্থাপনায়, সেবায় এবং দৃঢ়তায় নিজেদের উচ্চতা তুলে ধরতে হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো অপেশাদার আচরণ ও শিথিলতা প্রদর্শন করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। মানুষের সঙ্গে আচরণে বিনয়ী হতে হবে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ নূরে আলম।

ডিএমপি কমিশনার বলেন পুলিশের দায়িত্ব পালনে অপেশাদার আচরণের সুযোগ নেই

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, দায়িত্ব পালনকালে পোশাকে, উপস্থাপনায়, সেবায় এবং দৃঢ়তায় নিজেদের উচ্চতা তুলে ধরতে হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো অপেশাদার আচরণ ও শিথিলতা প্রদর্শন করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। মানুষের সঙ্গে আচরণে বিনয়ী হতে হবে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ নূরে আলম।

বক্তব্যের শুরুতে ডিএমপি কমিশনার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দানকারী সবার রুহের মাগফেরাত কামনা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে স্মরণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গকারী ও আহত পুলিশ সদস্যদের। এই অভ্যুত্থানে যেসব পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার বলেন পুলিশের দায়িত্ব পালনে অপেশাদার আচরণের সুযোগ নেই

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। যেসব এলাকায় বিদেশি দূতাবাস রয়েছে এবং কূটনৈতিকরা বসবাস করেন সেসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়া আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানে আপনাদের সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। এমন কোনো অপেশাদারমূলক আচরণ করা যাবে না যাতে করে দেশে এবং বিদেশে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

কমিশনার বলেন, বিরাজমান পরিস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রত্যেক সদস্য মনোবল বৃদ্ধির মাধ্যমে পেশাদারত্বের সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করে যাচ্ছে। পুলিশ আইন ও বিধি দ্বারা পরিচালিত একটি সুশৃংখল বাহিনী।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সব পর্যায়ের সদস্যদের নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে পুলিশের ওপর জনগণের পূর্ণ আস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, দুঃসময়ে কাঙ্খিত সেবা প্রদান করতে হবে, যাতে তারা মনে করে পুলিশ তাদের বন্ধু।

See also  দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

মতবিনিময় সভায় ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার কথা ডিএমপি কমিশনারের কাছে পেশ করেন। কমিশনার তা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।

এছাড়া তিনি ব্যারাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, ফোর্সের খাবারের মান উন্নয়ন ও নিয়মিত খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে ফোর্সের যাবতীয় কল্যাণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন।