মো মনির হোসেন : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান সড়কগুলোতে প্রতিদিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসবিহীন লোকাল বাস, যা যাত্রী ও পথচারীদের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। এসব বাসের একাধিকবার মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ থাকলেও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছে। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে এবং পরিবহন ব্যবস্থায় নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ লোকাল বাসেরই ফিটনেস সনদ নেই বা মেয়াদ উত্তীর্ণ। এসব বাসের ইঞ্জিন, ব্রেক, এবং বডি অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। অনেক বাসের ভিতরে বসার জায়গাও সংকুচিত, যা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর। এমনকি বেশিরভাগ বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসবিহীন লোকাল বাস: ঝুঁকিতে যাত্রী ও পথচারীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সড়কে এই ফিটনেসবিহীন বাসগুলো চলাচলের ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বাসগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে সামান্য ধাক্কাতেও বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে গ্রামের রাস্তাগুলোতে এসব বাস চালকের বেপরোয়া গতি এবং নিয়ম না মেনে যাত্রা করায় দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছে।
পথচারীরা বলেন, “আমরা প্রতিদিন ফিটনেসবিহীন বাসে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছি। এসব বাস যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে, সিএনজিতে ভাড়া বেশি থাকায় আমাদের এসব বাসে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।” তাই লোকাল বাস লো যদি সুন্দর ভাবে পরিচালনা করা হয় তাহলে বিভিন্ন দুর্ঘটনা এড়ানে সম্ভব ।
যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন এই বাসগুলোর কারণে সড়কে যানজটও বাড়ছে। ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের কারণে বাসগুলো প্রায়ই সড়কের মাঝখানে বন্ধ হয়ে যায়, ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে এসব যানবাহন সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে, যা সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও পরিবহন কর্তৃপক্ষ ফিটনেসবিহীন বাসগুলোর বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে, তবে তা নিয়মিত নয়। ফলে কিছু অসাধু বাস মালিকরা আইনের ফাঁকফোকর গলে এসব বাস পরিচালনা করে যাচ্ছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে, সড়কে চলাচলের জন্য পরিবহন মালিকরা ঘুষের মাধ্যমে ফিটনেস ছাড়াই বাস চালানোর সুযোগ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। তারা মনে করেন, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন অপসারণ করলে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে।