যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কোনও তথ্য জানাননি।
তিনি বলেছেন, কয়েকটি রাষ্ট্রের প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে কাজ চলছে। তবে বৈঠকের সবকিছু নির্ভর করছে যথাসময়ে নেতাদের উপস্থিতির ওপর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কার কার বৈঠক হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মোদি ও ইউনূসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন বিক্রম মিশ্রি।
যদিও আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনে কোয়াড লিডারস সামিটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাশাপাশি জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতের এই পররাষ্ট্রসচিব। তবে নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাঝে সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক নিয়ে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব
ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বলেছেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ‘দ্য সামিট অব দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনায় ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। অধিবেশনের ফাঁকে তিনি বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন। তিনি বলেন, এসব বৈঠকের সময়সূচি এখনও চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
বাইডেনের সঙ্গে মোদির বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিক্রম মিশ্রি বলেন, কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে ‘‘বিস্তৃত এবং গভীর’’ অ্যাজেন্ডা রয়েছে। দুই নেতার ওই বৈঠকে কোনও সুনির্দিষ্ট বিষয় স্থান পাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেকোনও বিষয়ে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত।
মোদি ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখনই নিশ্চিত করতে পারব না।’’ তবে বৈঠক হলে সেখানে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হতে পারে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
আগামী শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তিন দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।