অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাসুম বিল্লাহ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কলাপাড়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায় বাদীর নালিশি মামলা আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম ও বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পটুয়াখালীতে ড. ইউনূসকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মামলা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাসুম বিল্লাহ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কলাপাড়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায় বাদীর নালিশি মামলা আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম ও বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মধুখালী গ্রামের আবুল হাসেম খানের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হাসান মাহমুদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার একমাত্র আসমি মাসুম বিল্লাহ একই গ্রামের মৃত তোজাম্বর আলী খানের ছেলে। তিনি রেলওয়েতে পয়েন্টস ম্যান পদে কর্মরত।

পটুয়াখালীতে ড. ইউনূসকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মামলা

মামলায় বলা হয়, গত ২ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি মামলায় হাজিরা শেষে আদালতের বাইরে এলে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেন। যা সময় টিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ওই ভিডিওতে কমেন্টস করেন, শেয়ার করেন। তখন আসামি উক্ত ভিডিওতে কমেন্টস করেন ‘আপনাকে দেখে মনে হয় আমেরিকার দালাল।’ এতে বাদীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। অতঃপর আসামি এলাকায় বসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সুদখোর, ইহুদি পশ্চিমা দালাল বলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মানহানিমূলক উক্তি করেন। সর্বোপরি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একাকি পেলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন আসামি।

মামলার বিবাদী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, বাদী হাসান মাহমুদ আমার আপন চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। গ্রামের স্কুলের নিয়োগ সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে আমাকে ঘায়েল করতে আমার বিরুদ্ধে এমন কাল্পনিক ইস্যুতে মামলা করেছে। এছাড়া ঘটনার তারিখে আমি গ্রামে নয়, অফিসে কর্মরত ছিলাম। অফিসের হাজিরা খাতায় আমার স্বাক্ষর রয়েছে।