মো: গোলাম কিবরিয়া
জেলা প্রতিনিধি : মাউশির পরিচালক ড. বিশ্বজিৎকে কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। ড. বিশ্বজিতের কার্যালয়ে প্রবেশ করে কিছু তরুণ। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীকে তার কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ‘আমরা স্থানীয়’ পরিচয় দিয়ে ওই কার্যালয়ে প্রবেশ করে কিছু তরুণ। পরে তারা পরিচালককে কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে তালা মেরে চাবি নিয়ে চলে যান।
শিক্ষা ভবন সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের চতুর্থ তলায় মাউশি রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে ২০-৩০ জন তরুণ ওই কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা ড. বিশ্বজিৎকে আওয়ামী লীগের অনুসারী শিক্ষকদের কাজ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কার্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মাউশির পরিচালক তরুণদের কাছে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, তিনি সরকারের একজন কর্মচারী। তাকে কেউ এভাবে অফিস ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারেন না। তার কথা শুনে তরুণরা বলেন, তারা কোনো কথা শুনতে চান না। একপর্যায়ে ড. বিশ্বজিৎ শিক্ষার মহাপরিচালককে ফোন করার জন্য মোবাইলফোন হাতে নিলেও তরুণরা বাঁধা দেন। তারা বলেন, যা বলবেন কার্যালয়ের বাইরে গিয়ে বলবেন। ভেতরে কিছু বলতে পারবেন না। বাধ্য হয়ে তিনি কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর তরুণরা কার্যালয়ে তালা মেরে চাবি নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী বলেন, চাপের মুখে কার্যালয় ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। এ সময় তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। তিনি জানান, গত ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরেও অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সেপ্টেম্বরের এমপিওর কাজ তিনি এবং তার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পন্ন করেছেন। ঘটনার পরপরই তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
মাউশির পরিচালক ড. বিশ্বজিৎকে কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়ায় হয়
বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, মাউশির পরিচালক টেলিফোনে জানিয়েছেন, কে বা কারা তার কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করেছেন, তিনি ডেকে ডেকে আওয়ামী লীগের লোকের কাজ করে দিচ্ছেন। যারা এসেছিল তারা কেউ শিক্ষার্থী নয়।
তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে কাউকে কার্যালয় ত্যাগ করতে বাধ্য করা যাবে না।