মনির হোসেন : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে উড়াল গ্যাসের ঝুকি পুর্ণ ব্যবহার নিয়ে পথিক টিভি সহ বেশ কয়েকটি গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর সকৃয় হয় প্রশাসন তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ১ অক্টোবর দুপুরে সদর উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
অভিযানে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে তিতাস নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো ২১টি গ্যাস সংযোগ ড্রাম জব্দ করার পাশাপাশি ছয় হাজার মিটার অনিরাপদ প্লাস্টিক পাইপ জব্দ করা হয়।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীতে উদগিরণ হওয়া গ্যাস প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে বাসা-বাড়ি ও বাণিজ্যিক কারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে। চাপ নিয়ন্ত্রণ না করে এসব গ্যাস ব্যবহারের ফলে অগ্নিঝুঁকি বাড়ছে এমন সংবাদ পথিক টিভি সহ বেশ কয়েকটি গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিতো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উড়াল গ্যাস উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের অ্যাকশন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের পরিত্যক্ত ৩নং কূপের লিকেজ থেকে বিভিন্ন স্থান দিয়ে গ্যাস লিকেজ হচ্ছে। একটি অবৈধ চক্র এই গ্যাস অনিরাপদভাবে সংরক্ষণ করে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও কারখানায় সরবরাহ করছিল। খবর পেয়ে বের হওয়া গ্যাসের মূল পয়েন্ট কেটে দেওয়া হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিমিটেডের জি.এম (অপারেশন) আশরাফুল আলম জানান, পরিত্যক্ত কূপ থেকে বের হওয়া গ্যাসের চাপ কমে আসায় এর ঝুঁকির পরিমাণও কমে এসেছে। তারপরও যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে গ্যাস ফিল্ডের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্যাসের উদ্গিরণ বন্ধে ব্যর্থ হয়ে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিমিটেড তাদের ৩নং কূপটি বন্ধ করে দেয়। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত নদীর পাড়, বাসাবাড়ির নলকূপসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে গ্যাসের বের হচ্ছে, যা মজলিশপুর ইউনিয়নের ৪/৫ গ্রামে ব্যবহার হয়ে থাকে।