২০ বছর আগে ২০০২ সালে ৬৭ দিন ২ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট একটানা দৌড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। তবে এত বছরেও এই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেননি। অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন। তবে সফল হতে পারছিলেন না। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিস টার্নবুল ৩৯ দিন ৮ ঘণ্টা ১ মিনিটে ৩৮০০ কিলোমিটার দৌড়ে রেকর্ডটি করেন।
তিনি ৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখে স্থানীয় সময় সকাল ৫ টায় পার্থের কোটেসলো বিচ থেকে যাত্রা করেন এবং ১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১ মিনিটে সিডনির ম্যানলি বিচে ফিনিস লাইন অতিক্রম করেন। ক্রিস ৩ হাজার ৮৬৪ কিলোমিটার (২ হাজার ৪০০.৯৭ মাইল) পুরো দূরত্ব কভার করতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২.১৩ মাইল) দৌড়েছেন।
৪০ বছর বয়সী ক্রিস দুই সন্তানের বাবা। রেকর্ডে পুরো সময় একটি দল তার সঙ্গে ছিল, যারা তার যে কোনো পরিস্তিতিতে সাহায্য করতে পারেন। সব সময় তার সঙ্গে দুটো গাড়ি ছিল, যেখানে ২ থেকে ৪ জনের একটি দল ছিল। ক্রিস দৌড়ানোর সময় অনেক গুলো জায়গা অতিক্রম করেছেন, এসময় তিনি প্রচুর আশ্চর্যজনক দর্শনীয় স্থান দেখেছিলেন এবং পথে প্রচুর বন্ধুত্বপূর্ণ লোকের সঙ্গেও দেখা হয়েছে তার।
রেকর্ড গড়তে ৩৯ দিনে ৩৮০০ কিলোমিটার দৌড়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিস টার্নবুল
পেশায় প্রকৌশলী ক্রিস তার এই চ্যালেঞ্জের জন্য তিন মাস পরিকল্পনা এবং নিবিড়ভাবে প্রশিক্ষণ কাটিয়েছেন। তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় ধরে দীর্ঘ দূরত্বে দৌড়াচ্ছেন, তবে অবশ্যই সারা দেশে এই বিশাল যাত্রার জন্য কিছুই তাকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে পারেনি।
তবে এটি ক্রিসের প্রথম মেগা চ্যালেঞ্জ নয়। তিনি এর আগে সিডনি থেকে মেলবোর্ন পর্যন্ত দৌড়েছেন, বেশ কয়েকটি আল্ট্রাম্যারাথন সম্পন্ন করেছেন এবং তাসমানিয়া থেকে ভিক্টোরিয়া হয়ে কিং আইল্যান্ডে কায়াক করেছেন।
রেকর্ডের পুরোটা সময় তাকে নানান প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেকেই তাকে থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে কেন সে এভাবে দৌড়াচ্ছে। কিছু কিছু রাস্তা ছিল নুড়ি পাথরের। কিছু কিছু রাস্তা মাঝ থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আবার তাকে ঘুরে যেতে হয়েছে।
তবে অনেকের সহযোগিতাও পেয়েছেন তিনি। যেমন-পুরো যাত্রা জুড়ে তাকে কিছু রোডহাউস এবং ক্যারাভান পার্কে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে ক্রিস বলেন তার কাছে সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত ছিল ম্যানলি বিচে ফিনিস লাইন অতিক্রম করা, যেখানে তার স্ত্রী এবং বাচ্চারা তাকে আলিঙ্গন দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড