আখাউড়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুলালপুর পূর্বপাড়া গ্রামে জমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির কেয়ার টেকার ও সাবেক এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। জমি দখল করে জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ-বনজ এর দেড় শতাধিক গাছও কেটে নিয়েছে মামুন নামের ওই ইউপি সদস্যসহ তার সাঙ্গু পাঙ্গুড়া। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পতিবারের পক্ষে মোঃ সাদেকুর রশিদ বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে বিজয়নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, বিগত ২০০২ সাল থেকে সৌদি প্রবাসী ছিলেন সাদেকুর রশিদ ও তার ভাইয়েরা। তাদের বসত বাড়ীর পূর্ব দিকে ৬০ শতক ভিটি বাড়ি তাদের ৭ ভাই এবং ৭ বোন পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। বিগত ২০০৮ সালে তাদের দখলীয় ভিটি বাড়ীতে ১২০/১৩০ টি আকাশি গাছ, ১০টি কাঠাল গাছ ও ৫টি মেহগনি গাছ রোপন করে ভোগ দখল করছে তারা। কিন্তু তারা সবাই প্রবাসে থাকার কারণে মামুন ভুইয়াকে কেয়ার টেকার হিসেবে দেখা শোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তারই সুযোগে মামুন ৯ বছর যাবৎ বিভিন্নভাবে ওই যায়গাটি দখলে নেওয়ার পায়তারা করে আসছেন। গত ২৮ অক্টোবরব মামুন তার লোকজন নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাদের দখলীয় যায়গাতে থাকা দেড় শতাধিক গাছ কেটে ফেলে যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকার। এসময় গাচজ কাটায় উপস্থিত লোকজন বাধাঁ দিলে তাদেরকে ভয় ভীতি প্রদর্শণ করে মামুন ও তার সাঙ্গু পাঙ্গুড়া।
বাড়ির কেয়ার টেকারের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক জমি দখলের অভিযোগ, কাটা হলো ফলজ-বনজ গাছ
এ বিষয়ে এলাকার গন্যমান্য লোকজনকে বিষয়টি জানিয়ে বিজয়নগর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করার পর স্থানীয় লোকজন গাছ কাটার বিষয়টি সুষ্ঠ ভাবে মীমাংসা করিয়া দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু বিবাদীগন এলাকার লোকজনের কথায় কর্ণপাত না করে বেআইনী জনতাবদ্ধ ভাবে প্রভাব খাটিয়ে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৫/৬টি ট্রাক দিয়ে কাটা গাছ গুলো অন্য যায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মামুন ভুইয়া গাছ কাটার বিষয়টি অস্বিকার করে তিনি বলেন জোরপুর্বক দখল নয় তিনি ক্রয়কৃত যায়গায় দখলে আছেন। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, জোরপুর্বক জমি দখল ও ফলজ-বনজ গাছ কাটার একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।