যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট না থাকার কারণে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট না থাকার কারণে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে না। রোববার (৩ নভেম্বর) এক ক্ষুদে বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মরহুমের স্ত্রী লেবাননে আছেন। তার সঙ্গে লেবানন দূতাবাস কথা বলেছে, যোগাযোগ রাখছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট না থাকার কারণে মরদেহ বাংলাদেশে আনা সম্ভব হবে না বলে তাকে জানানো হয়েছে। লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসিন্দা।
লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, বয়স ৩১ বছর ১১ মাস (পাসপোর্ট নম্বর: EF0620043) শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ২৩ মিনিটে বৈরুতের হাজমিয়ে এলাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে (একটি কফি শপে অবস্থানকালে) বিমান হামলায় আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল শনিবার বিকালে বৈরুতের হাজমিয়ে এলাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বিমান হামলার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই নিজাম নিহত হন। বর্তমানে তার মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালের হিমঘরে আছে।
ফ্লাইট না থাকায় দেশে আনা সম্ভব নয় বাংলাদেশির মরদেহ
নিজাম ১২ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে লেবাননে গিয়েছিলেন। তার মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে। বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় সময় বিকালে তিনি একটি কফি শপে অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় ইসরায়েল বিমান হামলা চালালে তার মৃত্যু হয়।
দূতাবাস কর্তৃপক্ষের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান রেমিট্যান্সযোদ্ধা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার বিদেহ আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান তিনি।