ইন্দোনেশিয়ায় সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে ‘প্লেজার ম্যারেজ। যেখানে অর্থের বিনিময়ে অস্থায়ীভাবে কোনো পুরুষ পর্যটক নারীদের বিয়ে করছেন! এ নিয়ে ইতোমধ্যে অনলাইনে তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গণমাধ্যমটি বলছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল পুনকাক আরব পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সেখানেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব নারীদের পর্যটকদের কাছে অর্থের বিনিময়ে সাময়িক সময়ের জন্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর পুরুষ পর্যটকের যখন সফর শেষ হবে এবং তিনি দেশে চলে যাবেন তখন এই বিয়েও বাতিল হবে। এমন বিয়েকে ‘প্লেজার ম্যারেজ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিয়ে পদ্ধতি পুনকাকের পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করেছে।
অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছেমতো ‘প্লেজার ম্যারেজ
কাহায়া নামে এক তরুণী লস এঞ্জেলেস টাইমসকে বলেছেন, তিনি ১৫ বারের বেশি বিয়ে করেছেন এবং তার প্রতিটা ‘স্বামীই’ ছিল মধ্যপ্রাচ্যের। প্রথমবার তিনি যে পর্যটককে বিয়ে করেছিলেন তিনি ছিলেন সৌদি আরবের। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, বিয়ের পাঁচদিন পর সৌদির ওই ব্যক্তি দেশে চলে যায় এবং তাদের তালাক হয়। কাহায়া জানান, প্রতি বিয়ে থেকে তিনি ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার আয় করতে পারেন।
নিসা নামে আরেক নারী জানান, তার অন্তত ২০ বার বিয়ে হয়েছে। তবে তিনি এই ব্যবসা ছাড়তে পেরেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিকাহ মুত’আ বা প্লেজার ম্যারেজ সংস্কৃতির অংশ। তবে বেশিরভাগ স্কলার বলেছেন, এমন বিয়ে পদ্ধতি পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার আইনে এই বিয়ের স্বীকৃতি নাই বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার বিয়ের আইন কেউ না মানলে তার জরিমানা, জেল হতে পারে। চীনের মিডিয়ায় এই খবর আসার পর দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।