
দুবছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের গুদামে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা ২৬৫ মেট্রিক গম। বর্তমান বাজার মুল্যে প্রায় ১ কোটি টাকা। পচে যাওয়া গমগুলো এখন পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহারের উপযোগী নয়। অসহনীয় মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে যখন মানুষের নাভিশ্বাস, তখন গমের মত মূল্যবান এই বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যের এমন অপচয় হতাশা বাড়িয়েছে সকলের ।
দেখা যায়, পুরো মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে পচা গম। গমের বস্তার মুখ খুললেই চোখে পড়ে শত শত পোকা কিলবিলের চিত্র। এমনই দৃশ্য আখাউড়া স্থলবন্দরের গুদামে রাখা গমের । কাস্টমস সূত্র জানায়, ভারত থেকে ২০২২ সালে ৪টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২৯১৫ মেট্রিকটন গম আমদানি করে আলম ট্রেডার্স। এরমধ্যে আমদানিকারক ২৬৫০ মেট্রিকটন গম খালাস করে নেয় । তবে অবশিষ্ট ২৬৫ মেট্রিকটন গমের গুনগত মান খারাপ ও মেয়াদেত্তীর্ণে দাবি করে তা খালাস করে নিতে রাজি হয়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্টরা জানায়, আমদানির সময় ভারতীয় রপ্তানিকারক ভালো গমের সাথে বৃষ্টিতে ভেজা গমও পাঠায় । ফলে ভেজা গমের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে খালাসের সময় জটিলতা তৈরি হয়। পরে এই ভেজা গম নিম্নমানের ও মেয়াদীত্তীর্ণ উল্লেখ করে তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আখাউড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় আলম ট্রেডার্স। এরপর থেকেই স্থলবন্দরের গুদামে সংরক্ষিত অবস্থায় ২ বছর ধরে পঁচেছে এই বিপুল পরিমাণ গম যা এখন পশুখাদ্য হিসেবেও এখন অনুপযুক্ত।
দুবছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে গুদামে পচে নষ্ট হলো কোটি টাকার গম
এভাবে খাদ্যপণ্যের অপচয় হতাশাজনক জানিয়ে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সচেতন মহলের । ২ দফা পরীক্ষায় এই আমদানীকৃত গমের গুনগত মান মানুষ ও পশু খাদ্যের অনুপযোগী প্রমাণ হয়েছে এবং এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে তা বাজেযাপ্ত করে ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান আখাউড়া কাস্টমসের এই কর্মকর্তা। মুল্যবান খাদ্যপণ্য সহ সকল আমদানি রপ্তানি পণ্যের অপচয় এড়াতে সংশিষ্টরা আরো সচেতন হবেন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।