ফাইল ফুটেজ

বাঞ্ছারামপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ নারীসহ আহত ২৫, এলাকা থমথমে

ফয়সল আহমেদ খান: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ (মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে টেঁটা, রামদা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র ব্যবহৃত হয়। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নরসিংদীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শিবুআজগর আলী নামে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মোক্তার মিয়ার নাম উঠে এসেছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েক দশকের এই বিরোধ আজ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয়ে দিনভর থেমে থেমে চলতে থাকে। সংঘর্ষে অংশ নেয়া কয়েকশ ব্যক্তি টেঁটা, ঢাল, ইট-পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে উভয় গ্রুপের ওপর হামলা চালায়।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন— আব্দুল মিয়া (৫০), তাজু মিয়া (৪০), হালিমা বেগম (৪৫), শাহিন মিয়া (৩৫), ময়না বেগম (৪৩), নজরুল ইসলাম, বিপ্লব মিয়া (২৫), মাসুম মিয়া (৩৪), রহমতুল্লাহ (২৭), আহসান উল্লাহ (৩৩) এবং আরও অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, সংঘর্ষের পর অনেকে মামলার ভয়ে হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের নিস্ক্রিয়তা ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে সংঘর্ষের প্রকৃত দোষীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম মুছা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি বার বার ওসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। অথচ তিনি বলছেন ঘটনা সামান্য!

See also  জীবনযাত্রাকে সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টার

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম চৌধুরী সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সামান্য একটি ঘটনা ঘটেছে। এতে তেমন গুরুতর কিছু হয়নি, থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি এবং কাউকে আটকও করা হয়নি।

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, সংঘর্ষের এই ধারা অব্যাহত থাকলে শান্তিপুর গ্রামে নতুন করে সহিংসতার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।