বিদ্যুৎহীন ইসরায়েল, প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ ইরান

সোমবার সকাল থেকেই ইরান ও ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। দিনভর দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যা এই সংঘাতকে আরও জটিল ও আশঙ্কাজনক করে তুলেছে।
ইসরায়েলের পরিস্থিতি
ইরান ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলের প্রায় আট হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে। ইসরায়েলের একটি প্রধান জ্বালানি কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের একটি স্থাপনার কাছে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যদিও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য দেয়নি।
ইরানের পরিস্থিতি
ইসরায়েল তাদের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ওপর হামলার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ একে “নজিরবিহীন শক্তি প্রয়োগ” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলায় তেহরানে যেসব লক্ষ্যবস্তু বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো “ইরানি শাসনব্যবস্থার প্রতীক”।
এই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় যখন সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প “ইরানি শাসনামলের পরিবর্তনের” আহ্বান জানান। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানি সামরিক নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তারা “চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া” দিতে প্রস্তুত।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই উত্তেজনা হরমুজ প্রণালীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে—যা বিশ্ব জ্বালানি রপ্তানির জন্য এক অতি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। ইরান ইতোমধ্যেই প্রণালীটি বন্ধ করার ইঙ্গিত দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্ব নেতারা এখন এই সংঘাত থামাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও, মাটিতে পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
Responses